করোনায় সহায়তার হাত বাড়ালেন যুক্তরাষ্ট্রে চট্টগ্রামের বাসিন্দারা

চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার জেলা সদর ও চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সামগ্রী দিতে এগিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চট্টগ্রামের বাসিন্দারাও। এ লক্ষ্যে করোনাভাইরাস মহামারীতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ‘হেল্পিং হ্যান্ড ফর চিটাগনিয়ান ইনক’ নামে একটি চ্যারিটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন সেখানে বসবাসরত চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রবাসীরা। সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে এবং প্রবাসে যেকোন দুর্যোগে চট্টগ্রামবাসীদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।

স্বদেশ-স্বজনের কথা ভেবে অলাভজনক এই সংগঠনটি গত একমাস ধরে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার জেলা সদর ও চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসামগ্রী দেওয়ার প্রস্তুতি শেষ করেছে সংগঠনটি।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সংগঠনটির উদ্যোগে চলতি সপ্তাহেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে বেশ কিছু চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসামগ্রী। চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে চীন, হংকং ও মালয়েশিয়া থেকে বিমানযোগে ইতিমধ্যে সেগুলোর শিপমেন্ট হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাস্ক, গ্লভস, স্ক্যান থার্মোমিটার, ক্লিয়ার চশমা (গগলস) এবং পিপিই (গাউন)। প্রথম দফায় এসব চিকিৎসা সামগ্রী চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার শহরের কয়েকটি হাসপাতালসহ চট্টগ্রামের সবকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মহানগর ও জেলা পুলিশ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও ফিউনারেল হোমকে (লাশ দাফনকারী প্রতিষ্ঠান) অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এই সহায়তা আরও বাড়ানো হবে বলে সংগঠনটির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।

দেশে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসামগ্রী পাঠানোর পাশাপাশি নিউ ইয়র্কেও এই সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। শুক্রবার (৫ জুন) বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে নিউ ইয়র্কের মার্কস হোম কেয়ারের সহায়তায়, ফোবানা এবং বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের (বাপা) সাথে যৌথভাবে কোভিড-১৯ এর জন্য এন্টিবডি টেস্টিংয়ের কাজ শুরু করেছে সংগঠনটি।

‘হেল্পিং হ্যান্ড ফর চিটাগনিয়ান ইনক’ সংগঠনটির উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন নুরুল আনোয়ার, আবুল কাশেম, মো. আহসান হাবিব, মো. আরিফুল ইসলাম, মীর কাদের রাসেল, ইব্রাহিম দিপু, মো. বদিউল আলম, মাকসুদুল হক চৌধুরী ও ইকবাল হোসেন।

সিপি