করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় চট্টগ্রামে প্রায় প্রতিদিন প্রাণহানি ঘটেছে। মাঝখানে মৃত্যুর সংখ্যা একটু কমতির দিকে গেলেও সেটি আবার বেড়ে গেছে। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো করোনা কেড়ে নিল ৪ জনের প্রাণ। এই সময়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ৮২ জন এবং উপজেলায় ৩৭ জন।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৩ হাজার ৩৭০ জন। এদের মধ্যে নগরের ৪২ হাজার ৫১৭ জন এবং উপজেলার বাসিন্দা ১০ হাজার ৮৫৩ জন। আর মোট প্রাণহানি গিয়ে দাঁড়াল ৬১৮ জনে। এদের মধ্যে ৪৪৩ জন নগরের এবং ১৭৫ জন উপজেলার।
সোমবার (৩১ মে) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ৮টি ল্যাব ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব মিলে ৭০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে নগরের ৮ জন এবং উপজেলার ২৩ জন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এদের সবাই নগরের বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ৬ জন নগরের এবং ৩ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ২৩ জনই নগরের, বাকি ৬ জন উপজেলার।
এছাড়া বেসরকারি শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদের ৬ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ১১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের সবাই নগরের।
জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে নগরের ১০ জন এবং উপজেলার ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
এছাড়া, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও সেটিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।
এদিন, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৩৭ জনের মধ্যে হাটহাজারী উপজেলাতেই মেলে ১০ জন। এছাড়া রাউজানে ৯ জন, ফটিকছড়িতে ৭ জন, আনোয়ারাতে ৫ জন, বোয়ালখালীতে ২ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ১ জন করে করোনা শনাক্ত হয়।
এমএহক