করোনায় চট্টগ্রামে সেই কবে মৃত্যুহীন দিন গেছে সবাই ভুলতে বসেছে। ইদানিং হয় নগরে না হয় উপজেলায় গড়ে কমপক্ষে তিন জন করে মৃত্যু দেখে আসা চট্টগ্রাম করোনায় মৃত্যুহীন একটি দিন কাটাল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ২৬৩ জন শনাক্ত হলেও মৃত্যু হয়নি কারও। উল্টো করোনাজয় করেছেন ২৫ জন। তাতে করে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬৬৮ জন, যাদের মধ্যে ৬৬৬৩ জন নগরের ও ৩০০৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। এ পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন ১১৫৬ জন এবং মোট মৃত্যু আগেরদিনের ১৮৭-তেই স্থির আছে। এর মধ্যে ১৩৬ জন নগরের ও ৫১ জন উপজেলার বাসিন্দা।
শনিবার (৪ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলিয়ে মোট ১২৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় আরও ২৬৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ১৯৬ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৬৭ জন। একইসাথে চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৫ জন এবং ২৪ ঘণ্টায় কোন মৃত্যু হয়নি চট্টগ্রামে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে ২৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের দেহে করোনা পজিটিভ মিলেছে। যাদের মধ্যে ১২ জন নগরের ও ৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে মাত্র ৭ জনের শরীরে। যাদের ২ জন নগরের ও ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে প্রতিদিনের মতো সর্বাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের মধ্যে ৮২ জন নগরের ও ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে ১১০টি বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ২১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন ৬৩ জন। যাদের ২৪ জন নগরের ও বাকি ৩৯ জন বিভিন্ন উপজেলার।
অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে নগরেরই ৩১ জন। বাকি ৩ জন উপজেলার।
গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরণ ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ জন নগরের ও ৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এছাড়া, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জন উপজেলার করোনা রোগী মিলেছে।
উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৬৭ জনের মধ্যে আবারও সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া যায় হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। হাটাহাজীর পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফটিকছড়িতে মেলে ১৭ জন করোনা রোগী। এছাড়া রাউজানে ১১ জন, বাঁশখালীতে ৭ জন, চন্দনাইশে ৫ জন, পটিয়া ও রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন করে, সীতাকুণ্ডে ২ জন এবং সাতকানিয়ায় ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এমএহক