চট্টগ্রামে হঠাৎ করে করোনা শনাক্ত ‘কমে গেলে’ও থামছে না মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই লম্বা হতে থাকা মিছিলে গত ২৪ ঘণ্টায় যোগ হলেন আরও ১৩ জন। এদের মধ্যে ৫ জন নগরের এবং ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার। অন্যদিকে, এদিন চট্টগ্রামে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয়েছে মাত্র ৫০৭ জন। এদের মধ্যে নগরের ৩৭৪ ও উপজেলার ১৩৩ জন।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত গিয়ে দাঁড়াল ৯১ হাজার ২৮ জনে। এর মধ্যে নগরের ৬৭ হাজার ২৬৮ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৩ হাজার ৭৬০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৭২ জন। যাদের মধ্যে নগরের ৬২৬ এবং উপজেলার বাসিন্দা ৪৪৬ জন।
সোমবার (৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, এদিন চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবে এবং নগরের বিভিন্ন ল্যাবে এন্টিজেন টেস্টসহ ২ হাজার ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫০৭ জন।
ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে জানা যায়, ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৪ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১১৭ জন নগরের এবং ৩৭ জন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে মাত্র ৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাব ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে এদিন করোনার কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
অন্যদিকে, এদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে ৫৯৩ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এর মধ্যে ১০৪ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৫৫ জন নগরের এবং ৪৯ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ১১ জন ও উপজেলার ৭ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। যাদের মধ্যে ৪৪ জন নগরের এবং ১২ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮ জনকে করোনারোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। যাদের মধ্যে ৪২ জন নগরের, ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ১৬ জন ও উপজেলার ১ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ১৪ জন ও উপজেলার ১ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ জনের দেহে করোনার বিষ পাওয়া গেছে। যাদের ৬৩ জনই নগরের, বাকি ২০ জন উপজেলার।
সিভিল সার্জন আরও জানান উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর খোঁজ মিলে ফটিকছড়িতে। সেখানে করোনা শনাক্ত হয় ৩৭ জন। এছাড়া, সীতাকুণ্ডে ২১ জন, পটিয়ায় ১৯ জন, হাটহাজারীতে ১৮ জন, মিরসরাইয়ে ৯ জন, আনোয়ারায় ৮ জন, বাঁশখালীতে ৫ জন, রাউজান ও বোয়ালখালীতে ৪ জন, সাতকানিয়ায় ৩ জন, চন্দনাইশ ও রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন করে, সন্দ্বীপে ১ জন ও লোহাগাড়ায় শূণ্য করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এমএহক