কক্সবাজারের টেকনাফে শ্বশুরবাড়ি ঘুরে যাওয়া এক র্যাব সদস্যের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ১৫টি বাড়ি ও দোকান ‘লকডাউন’ করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে একটি টিম পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় ওই করোনা রোগীর শ্বশুর বাড়িসহ ও দোকানগুলো লকডাউন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম জানান, ‘ঢাকায় করোনা শনাক্ত র্যাব সদস্যের শ্বশুরবাড়ি টেকনাফে। কয়েকদিন আগে তিনি টেকনাফে বেড়াতে এসে বেশ কয়েকদিন অবস্থান করেন। পরে ঢাকায় ফিরে গিয়ে করোনা শনাক্ত হয় তার শরীরে। ফলে তার সংস্পর্শে আসা ১৫টি বাড়ি ও দোকান লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পল্লান পাড়া এলাকার ৬টি বাড়ি, ফার্মেসি, প্যাথলজি সেন্টারসহ ৭টি দোকান ও শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় একটি বাড়ি।’
তবে এসব বাড়িতে কতজন বাসিন্দা রয়েছে তা জানা যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, গত ২০ মার্চ ঢাকা থেকে এক র্যাব সদস্য টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে সস্ত্রীক বেড়াতে আসেন। এখানে থাকাকালীন তিনি সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে ফার্মেসী-ও প্যাথলজি সেন্টারে চিকিৎসা করেন। পরে তিনি গত ২৬ মার্চ টেকনাফ থেকে ঢাকায় ফিরে কর্মস্থলে যোগ দেন। ঢাকায় ফিরে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আরো বেড়ে গেলে ৩ এপ্রিল ঢাকায় পরীক্ষা করলে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পজেটিভ পাওয়া যায়। এ সময় তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, লকডাউন করা বাড়ির বাসিন্দাদের শনিবার (৪ এপ্রিল) নমুনা সংগ্রহ করে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে আইইডিসিআর’র পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।
সিপি