করোনার মধ্যে রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই রাঙামাটিতে আবারও পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখছে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ধসের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে এরইমধ্যে শহরের ৩১টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। আর সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় করোনার পাশাপাশি সম্ভাব্য পাহাড়ধস মোকাবেলায় সর্বাত্মক পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসনিক, সামরিক, বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

পাহাড়ধসের ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শহরের ৩১ এলাকা চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। এসব এলাকায় পূর্ব সতর্কতা অবলম্বনে বার্তা পৌঁছানো হবে। এছাড়া উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও লোকবল প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ সর্বাত্মক চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধান সড়কসহ জেলার সবকটি রাস্তা মেরামত ও সংস্কার কাজ করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) বলা হয়েছে। এ ছাড়া জনসচেতনতা সৃষ্টিতে শহরে মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ ব্যাপক প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ জুন সদরসহ জেলায় ভয়াবহ পাহাড় ধসের দুর্যোগে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ক্ষতিসাধিত হয়েছে ব্যাপক। পূর্ব সতর্কতার কারণে পরবর্তীতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমে গেছে- যদিও ২০১৮ সালের জুনে ফের ১১ জন এবং ২০১৯ সালের জুনে ৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এসব ঝুঁকি এড়াতে সামনে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান, জেলা প্রশাসক।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm