করোনার ‘ভরকেন্দ্র’ হাটহাজারী রাউজান, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

করোনার প্রকোপ বিস্তারের শুরু থেকেই চট্টগ্রামে উপজেলাগুলোর মধ্যে হাটহাজারীতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল বেশি। প্রতিদিনের উপজেলা ভিত্তিক করোনা আক্রান্তের তালিকায়ও দেখা যাচ্ছে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় হাটহাজারী ক্রমশ করোনার ‘ভরকেন্দ্রে’ পরিণত হচ্ছে। এর পরপরই রয়েছে পার্শ্ববর্তী উপজেলা রাউজান।

তবে কেন এসব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি তা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর মিলছে না। ধারণা করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা, শহরের কাছের উপজেলা হওয়ার কারণে অবাধ যাতায়াত, নিয়মিত সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান বা জনসমাগমে অংশগ্রহণের ফলে এখানে দ্রুত করোনা সংক্রমিত হচ্ছে।

রোববারের (২৫ এপ্রিল) তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় মোট আক্রান্ত ৯ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে মোট মৃত্যু ১২৭ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন হাটহাজারীতে। মারাও গেছেন ২২ জন। এরপরই রয়েছে পার্শ্ববর্তী উপজেলা রাউজান। এখানে ১ হাজার ২১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু ১৬ জনের। অন্যান্য উপজেলাগুলোর চিত্রও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।

২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পটিয়ায় ৮৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৪ জন। ফটিকছড়িতে আক্রান্ত ৮৬২ জন, মৃত্যু ৮ জন, সীতাকুণ্ডে আক্রান্ত ৮৩৮ জন, মৃত্যু ১৫ জন, বোয়ালখালীতে আক্রান্ত ৫৮৬ জন, মৃত্যু ৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় আক্রান্ত ৫০৮ জন, মৃত্যু ১০ জন, মীরসরাইয়ে আক্রান্ত ৪৩৪ জন, মৃত্যু ৪ জন, চন্দনাইশে আক্রান্ত ৪২৭ জন, মৃত্যু ৪ জন, আনোয়ারায় আক্রান্ত ৪২২ জন, মৃত্যু ৬ জন, সাতকানিয়ায় ৩৭০ জন, মৃত্যু ৮ জন, লোহাগাড়ায় ২৯৫ জন, মৃত্যু ৬ জন এবং সন্দ্বীপে আক্রান্ত ১৪৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।

উপজেলা পর্যায়ে সংক্রমণ বেশি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘৫টি উপজেলায় সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। কারণ এসব এরাকার লোকজনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। আর বিত্তশালী হওয়ায় এসব এলাকার লোকজন নিজেদের দাপট দেখাতেই পছন্দ করে। হর-হামেশা সামাজিক অনুষ্ঠানে তারা মিলিত হচ্ছে। আর শহরে আসা-যাওয়া ও তাদের সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। সংক্রমণ কমাতে হলে সবাইকে মাস্ক পরতেই হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না।’

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!