মহামারি করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় লণ্ডভণ্ড বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। গড়ে প্রতিদিনই ৭ লাখের চেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থও হয়ে উঠছেন অনেকে। এরপরও বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৩ জন। তাদের মধ্যে ১ কোটি ৮৩ লাখ ২৯ হাজার ৫২৮ রোগী করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন, গুরুতর অবস্থায় আছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৪৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ জন। বিশ্বের ২২১ টি দেশে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দেওয়া ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার ১৯ এপ্রিল (সোমবার) এই সংবাদ জানিয়েছে।
করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুও হয়েছে ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে এ রোগে মারা গেছেন ১ হাজার ৬২৫ জন। একদিনে মৃত্যুর হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। এই সময়সীমার মধ্যে সে দেশে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৫৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস, যা বিশ্বে সাধারণভাবে পরিচিতি পায় করোনাভাইরাস নামে। শনাক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসটি।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যদিও অভিযোগ করে আসছে, চীনের গবেষণাগারে এই ভাইরাসটি কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, তবে চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, প্রাকৃতিকভাবেই আবির্ভাব ঘটেছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির।
চলতিবছর মার্চ থেকে বিশ্বজুড়ে আবারও লাগামহীনভাবে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এ রোগে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৬ জন এবং এ রোগে এখন পর্যন্ত বিশ্বে মারা গেছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৬৯ জন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও অবশ্য কম নয়। এ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ কোটি ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৪ জন।
অন্যদিকে, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বাংলাদেশের অবস্থাও ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। গত তিন দিন ধরেই করোনায় মৃত্যু থাকছে শয়ের ওপর। এর মধ্যে আগেরদিন (রোববার) মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড ১০২ জনের।
এমএহক