করোনার প্রভাবে পর্যটক শূন্য কক্সবাজার সৈকত

করোনাভাইরাসের প্রভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রথম রোগীর মৃত্যু হওয়ার পর জেলাব্যাপী ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার থেকে জনমানব শূন্য হয়ে পড়ে বিশ্বের দীর্ঘতম এ সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার জেলাব্যাপী জনসমাগম ও পর্যটক সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে কক্সবাজারে পর্যটক আগমন করতে দেওয়া হচ্ছে না।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলাব্যাপী কোথাও এ পর্যন্ত কোনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মেলেনি। তবে ৩ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এ ৩ ব্যক্তি বিদেশফেরত।’

এদিকে, সমুদ্র সৈকতের তিনটি প্রবেশ মুখে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। চলছে প্রচারপত্র বিলি। সমুদ্র সৈকত ও আশপাশের এলাকায় পর্যটকদের সৈকতে না নামার জন্য চলছে জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের মাইকিং। সকাল থেকে সমুদ্র সৈকত ও আশপাশের এলাকায় পর্যটকদের সৈকতে না নামার নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে মাইকিং করা হয়। একই সময় সৈকতে থাকা পর্যটকদের ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বীচ কর্মীরা সৈকত থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
করোনার প্রভাবে পর্যটক শূন্য কক্সবাজার সৈকত 1
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘উপরের নির্দেশে আমরা মাইকিং করছি। একইসাথে সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, ডায়বেটিক ও কলাতলী পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব পয়েন্ট দিয়ে সৈকতে কোনো পর্যটককে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হবে বলেও জানান তিনি।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে কক্সবাজারের সকল পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!