করোনার টিকা মিলবে চট্টগ্রাম সিটির ১২৩ ও উপজেলার ১৯০টি কেন্দ্রে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে মোট ১২৩টি কেন্দ্রে। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে টিকাদান কেন্দ্র থাকছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১৯০টি ইউনিয়নে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে টিকাদান কেন্দ্র থাকবে একটি করে।

সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা এবং ১৪টি উপজেলা ও ১৩ পৌরসভায় মোট ৩২৬টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে।

চট্টগ্রামে ১৫টি উপজেলায় ইউনিয়ন রয়েছে ১৯০টি। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় ১৫টি, বাঁশখালীতে ১৪টি, লোহাগাড়ায় ৯টি, আনোয়ারায় ১১টি, সন্দ্বীপে ১৪টি, কর্ণফুলীতে ৫টি, পটিয়ায় ১৭টি, রাউজানে ১৪টি, চন্দনাইশে ৯টি, মিরসরাইয়ে ১৬টি, বোয়ালখালীতে ৯টি, ফটিকছড়িতে ১৭টি, সাতকানিয়ায় ১৭টি, হাটহাজারীতে ১৪টি এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই তিনটি করে টিকাদান কেন্দ্র থাকছে। প্রতি কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন ৩০০ জন।

অন্যদিকে প্রতিটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভায়ও থাকছে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র। প্রতি কেন্দ্রেই ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭ থেকে ৯ আগস্ট ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন কার্যক্রম চলমান রাখা যাবে। এছাড়া প্রয়োজনে হার্ড টু রিচ এরিয়ায় ৭ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা যেতে পারে।

ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ৭ আগস্ট সারাদেশের সব সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলায় জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন শুরু হবে। উপজেলা/ পৌরসভার যেসব ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে ৭ তারিখে নিয়মিত ইপিআই কার্যক্রম রয়েছে সেসব ইউনিয়ন/ ওয়ার্ডে ৮ অথবা ৯ আগস্ট ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।

এতে জানানো হয়, নিয়মিত ইপিআই টিকাদান সেশন পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী চলমান থাকবে। নিয়মিত ইপিআই টিকাদান সেশন কোনও অবস্থাতেই বন্ধ করা যাবে না। ক্যাম্পেইন ২৫ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রেগনেন্ট ও ল্যাকটেটিং মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।

পরিচালক (স্বাস্থ্য), করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য গঠিত-বিভাগীয় কমিটির সদস্য, সিটি কর্পোরেশন কমিটির সদস্য সচিব, জেলা কমিটির সদস্য সচিব, উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা এবং সব পৌরসভার মেডিকেল অফিসারদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!