করোনার ঝক্কিতে অস্থির পেয়াঁজ-রসুন-আদার বাজার

টান পড়েছে চীনা সরবরাহে

চট্টগ্রামের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার অগ্নিমূল্যে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা বলছেন করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীন থেকে স্বাভাবিক সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বেড়েছে এসব পণ্যের দাম। তবে সাধারণ ভোক্তারা বলছেন, অতি মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝেই গরম করছেন পেঁয়াজ, রসুন ও আদার বাজার।

খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেটের কাঁচাপণ্যের আড়তগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে চীনা আদা ও রসুনের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। সপ্তাহ আগে চীনা আদার দাম ছিল ১০০ টাকা। যা ৫০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। রসুনের দাম ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চীন থেকে আমদানি হওয়া শুকনো আদার দাম।

অন্যদিকে পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহ আগে মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও চীনা পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা এবং তুরস্কের পেঁয়াজ ৩০ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আমদানিকারকরা জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর মিয়ানমার এবং চীন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের মূল ভরসা। আর আদা-রসুনের মূল বাজারই হলো চীন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত চীনের বাজার ব্যবস্থা। এ অবস্থায় চীন থেকে জাহাজীকরণ বন্ধ থাকায় আদা-রসুন ও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। যদিও চীনে নববর্ষের ছুটির কারণে গত ২০ জানুয়ারি থেকেই দেশটির আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

এদিকে পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের কাজির দেউড়ি, চকবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, বহদ্দারহাটসহ সব খুচরা বাজারে। খুচরা বাজারেও এসব পণ্য কেজিতে আরো ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খুচরা ক্রেতারা।

একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার জন্যই বাজারে গুজব ছড়িয়েছে যে চীন থেকে পণ্য আমদানি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকবে। এভাবে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গত এক সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কয়েক ধাপে বাড়িয়েছেন।’

এএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!