করোনার কবলে মোস্তফা গ্রুপের হেফাজতুর রহমান

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ঋণখেলাপি শিল্পপতি মোস্তফা গ্রুপের চেয়ারম্যান হেফাজতুর রহমানের (৬৫) শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে করোনা পরীক্ষার নমুনার জট থাকলেও শুক্রবার (১৫ মে) তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ শনিবারই ফলাফল দেওয়া হলো। এতে তার করোনা পজিটিভ আসে।

হেফাজতুর রহমান ও তার মোস্তফা গ্রুপ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি। পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও তার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে তিন ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। গত বছর ঋণখেলাপি মামলায় কারাভোগও করেছেন হেফাজতুর রহমান।

প্রসঙ্গত, ১৯৫২ সালে ভোগ্যপণ্য দিয়ে মোস্তফা গ্রুপের যাত্রা শুরু। এ গ্রুপের উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে শিপব্রেকিং, ভোজ্যতেল, রাবারবাগান, চা-বাগান, আমবাগান, কাগজ, মৎস্য, স্টিল, পরিবহন, শিপিং, সিকিউরিটিজ ও পোশাক কারখানা। পর্যায়ক্রমে তাদের বেশিরভাগই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। মোস্তফা গ্রুপের কাছে ব্যাংকসহ ৩০টিরও বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা ২ হাজার কোটি টাকার বেশি বলে জানা গেছে।

মোস্তফা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লোহাগাড়ার সন্তান মোস্তাফিজুর রহমানের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তার বড় ছেলে হেফাজতুর রহমান। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হিসেবে আছেন জহির উদ্দিন। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাদের ভাই কফিল উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান শফিক উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন আছেন পরিচালক হিসেবে।

হেফাজতুর রহমান বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন, ছিলেন ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পরিচালকও। একসময় চিনি, ভোজ্য তেলসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারকও ছিলেন।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!