করোনায় নতুন আক্রান্ত ৬, সিভিল সার্জনের প্রতিবেদনে নেই চট্টগ্রাম মেডিকেলের তথ্য

চট্টগ্রাম মেডিকেলে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে। ছয়দিন আগে পর্যাপ্ত কিট আসলেও তবুও পরীক্ষা নিয়ে গড়িমসি করছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ প্রতিদিনই মেডিসিন বিভাগের বহির্বিভাগে ভিড় জমাচ্ছেন জ্বর আক্রান্ত রোগীরা। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ২৪ ঘণ্টায় আরডিটিতে ১১ জনের করোনা পরীক্ষার পর একজন পজিটিভ হলেও সে তথ্য নেই প্রতিবেদনে। তবে এখনও সরকারি হাসপাতালগুলোতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হচ্ছে না, কাজ চলছে আরডিটি দিয়েই।

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৮ জুন) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২৪ ঘণ্টায় শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবে ১২ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ২০ জন, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪০ জন, পার্কভিউ হাসপাতালে ৩৯ জন, ন্যাশনাল হাসপাতালে ১৯ জন, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭ জন, জেনারেল হাসপাতালে ৪ জন, এভারকেয়ার হাসপাতালে ৯ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শেভরণ, মা ও শিশু এবং পার্কভিউতে ২ জন করে ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে একজন সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা এবং অপর ৫ জন নগরের। এদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দু’জন নারী।

এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের ৩৭ জন নগরের ও ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তছলিম উদ্দীন খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত কিট আছে। তারপরও চিকিৎসকরা আরডিটি (দ্রুত ডায়াগনস্টিক টেস্ট) দিচ্ছেন। কিন্ত আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত রয়েছে। ডাক্তাররা কেন আরটি-পিসিআর ল্যাবে টেষ্ট দিচ্ছেন না, তা ডাক্তাররা জানেন।’

করোনা আক্রান্তের তথ্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে নেই কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের তথ্য পাঠিয়েছি।’

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm