১০ বছরের প্রবাসজীবন তো বটেই, এক করোনায় শেষ হয়ে গেল জীবনটাই। সেই সঙ্গে একটি পরিবার থেকে কেড়ে নিল তিল তিল করে জমানো স্বপ্ন আর সংসারের অন্যতম উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ওমানপ্রবাসী জাহেদের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আর এরই সাথে শেষ হয়ে গেল সংসারে সচ্ছলতা আনার ১০ বছরের শ্রম।
জানা গেছে, ওমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের সন্তান জাহেদুল ইসলামের (৩৪) মৃত্যু হয়। শুক্রবার (৩০ জুলাই) ভোরে ওমানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জাহেদ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ডা. এয়াকুব পাড়ার মৃত ইসলাম ড্রাইভারের পুত্র। তার ৮ মাস বয়সী এক পুত্র সন্তান আছে। আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন নিহতের পারিবারিক সূত্রে করোনা আক্রান্ত হয়ে ওমানে জাহেদুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে প্রায় ১০ বছর আগে জাহেদ ওমানে পাড়ি জমান। ওমানে তিনি মোবাইলের ব্যবসায় করতেন। ওমান থেকে পাঠানো তার রেমিট্যান্সেই চলতো সংসার। প্রায় ৮ মাস আগে বাড়িতে এসে আবার ওমানে ফিরে যান তিনি।
ওমানে থাকা জাহেদের বড় ভাই খালেদুল ইসলাম জানান, ১৫ দিন আগে কোভিড পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ আসে। এর পর নিয়মিত চিকিৎসা নিতে থাকেন জাহেদ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়।
আইসিউতে ৫ দিন থাকার পর শুক্রবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন জাহেদ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় ওমানে তার দাফনকাজ সম্পন্ন হবে বলেও জানান খালেদ।
এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ মে ওমানের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (৪২) নামের এক যুবক। নাজিম পূর্ব কলাউজান ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কবির আমিনের ছোট ছেলে। নাজিম ১২ বছরের বেশি সময় ওমানে ছিলেন। এক বছর আগে দেশে ছুটিতে এসে আবার ওমান চলে যান।
কেএস/সিপি