করোনাকালে শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে খোদ স্কুলেই ‘কোচিং বাণিজ্য’

করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। তবে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পটিয়ার এএস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে কোচিং চালু করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (৬ জুলাই) সকালে পটিয়া পৌর সদরের এএস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহদাত হোসেন কোচিং চালু করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটিকেও কিছু জানাননি এই শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, এএস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। করোনার এ সময়ে স্কুলের অভ্যন্তরে কোচিং বন্ধসহ স্কুলের নিয়মিত ক্লাস বন্ধ ছিল সরকারি নির্দেশে। কিন্তু সোমবার কোচিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ডেকে আনেন এই শিক্ষক। এসময় কোচিংয়ে আসা শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক পর্যন্তও ছিলনা। কোচিং ক্লাসের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

বিষয়টি জানতে পেরে রাহাত আলী স্কুল কমিটির সভাপতি সরওয়ার হায়দার তাৎক্ষণিক পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহমেদকে মোবাইল ফোনে অবগত করেন।

কমিটির সদস্য আলী হোছাইন ৮ম শ্রেণির কিছু ছাত্রদের ভালো ফলাফলের জন্য ফ্রি কোচিং চালু করা হয়েছে বলে জানান।

তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহদাত হোসেন কোচিং চালুর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ৮ম শ্রেণির ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশনের কিছু কাজ থাকায় কাগজপত্রে সই নেওয়া হচ্ছে। তাই তাদের ডেকে আনা হয়েছে।

এএস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরওয়ার হায়দার বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে প্রধান শিক্ষক স্কুলে কোচিং ক্লাস চালু করেছেন বলে আমি জানতে পেরেছি। কোচিংয়ের একটি ছবি ফেসবুকে দেখতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশ মেনে স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য শিক্ষকসহ কমিটির সকল সদস্যকে জানানো হয়েছে। এখন সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কেউ নিজ উদ্যোগে কোচিং চালু করলে এর দায়ভার ওই ব্যক্তিকে নিতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা পরিচালনা কমিটি নিবে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, স্কুলে কোচিং পড়ানো নিয়ে আমাকে স্কুল কমিটির সভাপতি ফোনে জানিয়েছেন। আমি বলেছি, এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!