করোনাকাণ্ডে নির্বিকার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

করোনাভাইরাস নিয়ে সারাদেশেই আতংক বিরাজ করছে। চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় ব্যক্তি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সতর্কতা সৃষ্টিতে কাজ করছে। অথচ নির্বিকার ভূমিকায় আছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। নগরবাসীর মূল সেবা সংস্থা হয়েও করোনাভাইরাস নিয়ে যেন তাদের কোন দায় নেই। করোনা ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে না পড়লেও চসিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন করোনা মোকাবেলায় চলছে আলাপ-আলোচনা।

নগরবাসীর অনেকে বলছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখেই নিষ্প্রভ চসিক। মূলত বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মনোনয়ন হাতছাড়া হওয়ার পরই নাগরিক সেবা দেওয়ার প্রতি ঢিলেঢালা মনোভাব চসিকের।

অথচ করোনাভাইরাস আতঙ্কের এই সময়ে সেবা সংস্থা হিসেবে চট্টগ্রামের ঠিক উল্টো ভূমিকা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নাগরিকদের জন্য অন্তত ২৫টি স্থানে হাত ধোয়া, সাবান ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। সেখানে পরিকল্পনা আছে আরও নানা ধরনের।

এছাড়া খোদ চট্টগ্রামেই নাগরিক উদ্যোগের ব্যানারে চকবাজার কাঁচাবাজার এলাকায় বাজারের ব্যবসায়ী-জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করেছেন খোরশেদ আলম সুজন। তবে চসিকের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও সাধারণ মানুষের সচেতনতা সৃষ্টিতে অবদান রাখতে চায় চসিক।

এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে এক সভা মঙ্গলবার (১০ মার্চ) চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ অনুসরণ করে নিরাপদ থাকাই উত্তম পন্থা। এছাড়া অসুস্থবোধ করলে বাড়িতে অবস্থান করা, জনাকীর্ণ স্থানে সতর্ক থেকে মাস্ক ব্যবহার করা, শিশু, বৃদ্ধ ও ক্রনিক রোগীদের অধিকতর সতর্ক রাখা এবং নিজেকে নিরাপদ রাখতে বিদেশ ভ্রমণ না করাই শ্রেয়।’

করোনা মোকাবেলায় চট্টগ্রামে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে কিংবা আদৌ কোন পরিকল্পনা আছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা বলেন, ‘আমাদের একটি কমিটি হয়েছে। ১৮ মার্চ আমরা ১০টার সময় কমিটির মিটিংয়ে বসছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মূলত আমাদের এখন যে কাজটা করতে হবে, সেটা বুঝতে পারছি যে কোয়ারেন্টাইনে রাখা ও লোকদের নজরদারি করা।’

এএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!