কমেছে নমুনা পরীক্ষা শনাক্ত ও প্রাণহানি, তবুও চট্টগ্রামে ১০ মৃত্যু

সারাদেশে লক্ষনীয়ভাবে কমেছে করোনার নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত ও প্রাণহানি। আগেদিন ১৪ হাজার ৩৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা হয়েছিল ১৩ হাজার ৪৮৮টি নমুনার। তাতে শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ৯৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৩৭ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ১৯৩টি নমুনা। তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৬৮৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমোট এক লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হলেন। একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামেরই রয়েছে ১০ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৩০৫ জনে।

শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই বাসিন্দা রয়েছেন ১৩ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, রাজশাহী ও খুলনা তিনজন করে এবং বরিশাল বিভাগে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ জন, বাড়িতে থেকে ১১ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন একজন।।

যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ২ হাজার ৩০৫ জনের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৮২৪ জন, যা শতকরা ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নারী ৪৮১ জন, শতকরা হিসাবে ২০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গেল ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের তিনজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সসীমার একজন রয়েছেন।

দেশের মোট ৭৭টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, শনিবার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৪৭৫ জনের। এর মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ১৯৩টি নমুনা। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৯ লাখ ২৯ হাজার ৪৬৫টি নমুনা। তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো এক হাজার ৬২৮ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম জেলায় ১১ জুলাই সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে, ১১ হাজার ৩৮৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মারা গেছেন মোট ২১৪ জন, যাদের মধ্যে ১৫২ জন নগরের ও ৬২ জন উপজেলার বাসিন্দা। ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের করোনাজয় নিয়ে এখন পর্যন্ত একহাজার ৩১৮ জন রোগী করোনা মুক্ত হলেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!