কফি খেয়ে ভ্রু প্লাক করে ১৩৯ টাকার ভ্যাট দিয়ে ২০ হাজার টাকা পেলেন চট্টগ্রামের দুজন

চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকার রেস্টুরেন্ট তাসফিয়া গার্ডেনে স্পেশাল কফি খেয়ে কাজির দেউড়ির বদরুল আলম ভ্যাট দিয়েছিলেন ৯ টাকা। এর পুরস্কার হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জানুয়ারি মাসের লটারিতে নগদ ১০ হাজার টাকা জিতে নিলেন তিনি। মেহেদিবাগের লুসি বিউটি পার্লারে এক হাজার টাকায় ফেসিয়াল ও ভ্রু প্লাক করিয়েছিলেন দক্ষিণ হালিশহরের প্রীতি রায়। সেখানে ভ্যাট ছিল ১৩০ টাকা ৪৩ পয়সা। তিনিও লটারিতে পেয়েছেন নগদ ১০ হাজার টাকা।

জানুয়ারি মাসে ইলেকট্রনিক ফিসকল ডিভাইস (ইএফডি) দিয়ে পুরস্কার জেতা এই দুজনকে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন চেক হস্তান্তর করলেন।

ক্রেতার দেওয়া ভ্যাট যাতে সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হয়, সেজন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসকল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি কেনাকাটার পর ইএফডি মেশিন থেকে চালান নিলে ক্রেতার দেওয়া ভ্যাট/মূসক সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হয়।

এই ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে প্রতিমাসের ৫ তারিখে এনবিআর একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করে। এ লটারিতে আছে ১০১টি পুরস্কার। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে লটারি বিজয়ীরা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনারের কাছ থেকে পুরস্কার নেন।

চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার আকবর হোসেন বলেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ইতিপূর্বে স্থাপিত ৫২০টি মেশিনের পাশাপাশি আরও ৫০০টি মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতিটি ইএফডি মেশিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদের প্রদত্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান নিশ্চিত হচ্ছে।

জানা গেছে, ইএফডি বিষয়ে ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সচেতনতা বাড়াতে নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম। ভ্যাট মেলা, ভ্যাট বুথ, ভ্যাট স্ট্যান্ডের মাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত বাংলায় ক্রিকেট সেলিব্রেটি আকরাম খানকে দিয়ে প্রচারণামূলক পোস্টার জনগণকে ইএফডি চালান নিতে উদ্বুদ্ধ করছে।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!