কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে আরএনবির সিপাহীর পিটুনির শিকার তিন যুবক

কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে তর্কের জেরে ওসমান গণি নামের এক যুবকসহ আরো তিনজনকে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সিপাহী। পরে উত্তেজিত জনগণ স্টেশনে এসে অভিযুক্ত দুই সিপাহী মো. হেলাল ও মুস্তাফিজের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করলে সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিকেল ৪ টার দিকে স্টেশনে সামনে ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়ে তর্কের জেরে তিনজনকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর স্টেশন ব্যারেকের রুমে নিয়ে বেধে বেদম পিটায় সিপাহী মো. হেলাল ও মোস্তাফিজ। পরে খবর পেয়ে তাদের স্বজন ও শিক্ষার্থীরা স্টেশনে এসে বিক্ষোভ করে। এসময় অভিযুক্ত দুই সিপাহী হেলাল ও মোস্তফিজ একটি রুমে আশ্রয় নেয়।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহত ওসমান গণি নামের একজনকে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথা ও চোয়ালে জখম হয়েছে। তবে আরএনবির দাবী পালাতে গিয়ে ওসমান আহত হন৷

এদিকে মারধরের শিকার যুবক ও স্বজনেরা কক্সবাজার থানায় মামলা করতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান, রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মিলে অভিযুক্ত দুই সিপাহীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসে পরিস্থিতি আপাততঃ শান্ত করেন।

এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি বলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন। তিনি জানান, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য ও এক যুবকের মধ্য তর্কের জেরে স্টেশনে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। আহত যুবককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এটি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিষয়। আমরা কেবল সহযোগিতা করেছি। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রামের কমান্ড্যান্ড মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়ে তর্কের জেরে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ওসমান গণি নামের এক যুবক কিছু আহত হন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমি থানা পুলিশ ও সবার সঙ্গে আলোচনা করে মিটমাট করেছি। আরএনবি সদস্যের দোষ খোঁজ পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী কক্সবাজার স্টেশন ইন্সপেক্টর মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের দুজন সিপাহির সঙ্গে এক যুবকের তর্ক হয়েছে। কাউকে রুমে এনে মারধর করা হয়নি। তাদের কথা বলার জন্য রুমে আনা হয়েছিল।

সিএম/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm