কক্সবাজার সদরে নগদ ১১ লাখ টাকা ও ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের ঘটনার তিনদিন পার হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী মামলা করলেও অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ২৩ জুন বিকাল ৪টার দিকে সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া বটতলীর নোমানিয়া মাদ্রাসার সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী মিশু দে। এই ঘটনায় তিনি ২৪ জুন কক্সবাজার মডেল থানায় মামলা করেন।
মিশু দে খুরুশকুল দক্ষিণ হিন্দুপাড়ার মৃত বীরেন্দ্র দে’র ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের বড়বাজার এ. ছালাম মার্কেটে ‘তরুলতা জুয়েলার্স’ নামের একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে মিশু দে’র। সেখান থেকে তিনি প্রতি দু’সপ্তাহ পর পর ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও বাজারে বিভিন্ন স্বর্ণ রেডিমেইড বিক্রির জন্য নিয়ে যান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জুন দুপুরে মিশু ও স্বর্ণকাজের কারিগর সৌরভ ধর বেশ কিছু স্বর্ণ অলংকার বিক্রির জন্য নিয়ে যান। সেখান থেকে কিছু স্বর্ণ অবিক্রিত থেকে যায়।
স্বর্ণ বিক্রির টাকা ও অবিক্রিত স্বর্ণ নিয়ে ঈদগাঁও বাজার থেকে সিএনজি অটোরিকশা করে কক্সবাজার শহরে আসার পথে বিকাল ৪টার দিকে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনারপাড়া বটতলী এলাকার নোমানিয়া মাদ্রাসার সামনে রাস্তার ওপর ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ওই এলাকার নুর আহমদের ছেলে মো. শাহেদ, একই ওয়ার্ডের মাইজপাড়ার নাছিরের ছেলে মো. বেলাল ও ঘোনারপাড়ার রমজানের ছেলে জাহেদ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। পরে সৌরভ ধরের কাঁধে থাকা ১১ লাখ টাকাসহ ব্যাগটি নিয়ে যা।
এছাড়া অবিক্রিত ৩২ ভরি স্বর্ণ যার মধ্যে ছিল ২ ভরি ৮ আনা ওজনের ২টি গলার হার, ৭ ভরি ওজনের ১০টি গলার মালা, ১১ ভরি ওজনের ২২টি চেইন, ৫ ভরি ওজনের ১৮টি আংটি, ১০ আনা ওজনের ১৪টি লকেট, ২ ভরি ৮ আনা ওজনের ৬ জোড়া কানের দুল, ২ ভরি ৫ আনা ওজনের ৩টি বেসলেট, ২ ভরি ওজনের ৬টি হাত চেইন ছিল। একইসঙ্গে মিশু ও সৌরভ ধরের মোবাইল ফোন দুটিও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
ছিনতাইয়ে বাধা দিলে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিশু দে ও সৌরভ ধরের শরীরের আঘাত করে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে এবং ছিনতাইকৃত স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
ডিজে