কক্সবাজারে ২ একর খাসজমি দখল করে ‘মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ’ নেতার অবৈধ স্থাপনা

কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের ২ একর ৩০ শতক খাসজমি অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে এর সত্যতা মিলেছে।

সোমবার (৫ মে) দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ওই জমিতে দুদকের কক্সবাজার জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবুর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবু জানান, খাসজমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।একটি চক্র সরকারি খাস খতিয়ানের আড়াই একর জমি জাল দলিল ও খতিয়ান তৈরি করে শতাধিক দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেয়।

তিনি আরও জানান, সরকারি জমি দখলদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে জাল খতিয়ান ও দলিল তৈরির মদদদাতা প্রভাবশালী ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকা ২০০ কোটি টাকা মূল্যের এই খাসজমি কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সহসভাপতি ওবাইদুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দখলদার চক্র জাল কাগজ বানিয়ে দখল করে নেয়। চারপাশে উঁচু বেড়া দিয়ে শতাধিক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সচ্চিদানন্দ সেনগুপ্তের নামে জাল কাগজপত্র বানিয়ে জমিটি দখল করা হয়েছে।

ওবাইদুল হোসেন দাবি করেছেন, তিনি সচ্চিদানন্দ সেনগুপ্তের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে দোকান নির্মাণ করেছেন। তবে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, সচ্চিদানন্দের নামে কোনো খতিয়ান নেই।

এদিকে দুদকের অভিযানের সময় সংবাদ সংগ্রহে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের ওই জমিতে প্রবেশে বাধা দেন দখলকারীরা। গণমাধ্যমকর্মীরা ঢুকতে চাইলে গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সাংবাদিকেরা ভেতরে প্রবেশ করেন।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm