কক্সবাজারে শ্রমিক লীগ সভাপতি হত্যা মামলায় কারাগারে শিবির নেতা

কক্সবাজারে শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলায় ছাত্র শিবিরের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার ইমাম খাইর (৩৭) ইসলামী ছাত্র শিবিরের শহর শাখার সাবেক সভাপতি। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের চাউল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের অতিরিক্ত অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান।

তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ইমাম খাইরকে আটক করা হয়েছে। ইমাম খাইর কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস ফুলছড়ি এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে। আটকের পর তাকে কক্সবাজার সদর থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, ইমাম খাইর শ্রমিক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত ছিল। পাশাপাশি তার কাছ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তার সাথে হত্যাকারীদের যোগাযোগ ও দেখা সাক্ষাতের প্রমাণ র‌্যাবের কাছে রয়েছে।

সূত্র জানায়, আটক ইমাম খাইর ছাত্র শিবিরের কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কক্সবাজার শহর শাখার সাবেক সভাপতি।

৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার সদরের লিংকরোড স্টেশনে ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য কুদরত উল্লাহ সিকদারের ব্যক্তিগত অফিসে অবস্থান করছিলেন তার বড় ভাই জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার। এসময় একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী মোটর সাইকেল যোগে এসে তাদের লক্ষ্য গুলি ছুড়ে এবং কুপিয়ে জখম করে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুদরত উল্লাহ সিকদার ও তার বড় ভাই জহিরুল ইসলাম সিকদারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ নভেম্বর দুপুরে জহিরুল ইসলাম সিকদার মারা যান।

এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর হামলায় আহত কুদরত উল্লাহ সিকদার বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলা নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নামে র‌্যাব-১৫।

কক্সবাজারস্থ র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়েরুল ইসলাম বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর জহির হত্যা মামলা নিয়ে র‌্যাব শতভাগ পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছে। আর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে মামলার প্রধান আসামিদের সাথে ইমাম খাইরের নিবিড় সম্পর্কের এবং যোগাযোগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য র‌্যাবের কাছে আসে। পরে যাচাই বাছাই করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়। যে কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র দে জানান, র‌্যাব-১৫ কর্তৃক সোপর্দকৃত আসামি ইমাম খাইরকে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম হত্যা মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ইমাম খাইরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী বোরবার আদালতে রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।

কক্সবাজার কোর্ট ইন্সপেক্টর চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যা মামলায় ইমাম খাইর নামে এক আসামিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!