কক্সবাজারে গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগও। এতে করে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সর্তকবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কিন্তু মৃত্যুঝুঁকি জেনেও সরছে না এখানকার বাসিন্দারা।
এদিকে শনিবার (২৯ জুন) রাত থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও বেশির লোকই এটির কর্ণপাত করেনি।
রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা, ঘোনারপাড়া, পাহাড়তলী, লাইট হাউস এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি। পাহাড় কেটে এখানে তৈরি হয় অসংখ্য ঘর।
তবে শুধু এখানেই নয় কক্সবাজার শহর ও আশপাশের কলাতলী, হিমছড়ি, বাস টার্মিনাল, রুমালিয়ার ছড়া, জেলগেট, দরিয়া নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। ভারী বৃষ্টিতে এখানে পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঘটে প্রতিবছরই। কিন্তু মৃত্যুঝুঁকি জেনেও নানা অজুহাতে এসব বসতি ছাড়তে নারাজ বসবাসকারীরা।
বৈদ্যঘোনার ছৈয়দ আলম বলেন, মাইকে পাবলিসিটি করে আমাদেরকে এখান থেকে নেমে যাওয়ার জন্য বলে। তাদের কথা অনুসারে আমরা যদি নেমে যাই তাহলে ঘরে চোর, ডাকাত আমাদের জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
পাহাড়তলী জিয়ানগরের রফিক বলেন, এই বৃষ্টির মধ্যে আর কোথায় যাব, পাহাড় ছাড়া আর কোথাও আমাদের জায়গা নেই।
আরেক বাসিন্দা বলেন, সরকার যদি কোনো একটা ব্যবস্থা করে দিয়ে এখান থেকে চলে যেতে বলে আমরা চলে যাব।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী মুঠোফোনে জানান, আমরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছি যাতে তারা তাদের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তার স্বার্থে খুব দ্রুত নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে যান। এরই অংশ হিসেবে শনিবার রাতে জেলা প্রশাসনের চারটি টিম পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।
ডিজে