ভারী বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনসহ পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে চিংড়িঘের, লবণ মাঠ ও ফসলি জমি।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) গভীর রাত থেকে সেন্টমার্টিন-টেকনাফের বাসিন্দাসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।
বিষয়টি জানিয়েছেন সিপিপির টেকনাফ উপজেলা টিম লিডার কাইসার উদ্দিন চৌধুরী।
কাইসার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে সেন্টমার্টিন, সাবরাং, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং বাহারছড়া ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে ভেঙে গেছে চিংড়িঘের, নষ্ট হয়েছে লবণ মাঠ, ফসলি জমি। ভেঙে গেছে ছোট-বড় অনেক রাস্তা। কিছু কিছু জায়গায় পাহাড় ধসে গেছে। মানুষ ঠিকমত বাড়ি-ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এখনো ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
হ্নীলার বাসিন্দা শিক্ষক কামাল উদ্দিন জানান, বেড়িবাঁধের স্লুইস গেট বন্ধ থাকায় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ওয়াব্রাং এলাকাসহ অনেক গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। দ্রুত স্লুইস গেটের পাশে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না করলে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আরও বৃষ্টি হলে ওয়াব্রাং মৌলভীবাজার ফুলের ডেলে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হতে পারে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, রাত থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে দ্বীপের অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।এখনো ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আশা করি, বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যেতে পারে। তবে বঙ্গোপসাগরে পানি আগের তুলনায় ১-২ ফুট বাড়ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানান, বুধবার রাত থেকে অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নে বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি এবং তাদেরকে ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার কাজ চলছে।
ডিজে