কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার সময় পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৮ অক্টোবর) কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইমারত পরিদর্শক ডেভিড চাকমা বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেনকে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০-৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় ৫৩ আসামি হল কক্সবাজার জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল, কক্সবাজার শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষিবিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বখতিয়ার উদ্দিন, আজিজুল হক, মোহাম্মদ ইসমাইল, জয়নাল আবেদীন, মীর কাশেম, জয়নাল আবেদীন কাজল, মোহাম্মদ সরওয়ার আলী, মংচিনলা চাদ, মো. ইউনুছ, জয়নাল আবেদীন, কালাম, মুজিবুর রহমান, খোকন পাল, আব্দুল শুক্কুর, মো. কাউছার আলম, গুংগু, মো. নুরুল রায়হান, আমিনুল ইসলাম, মো. রাসেল, মুক্তার আহম্মদ, মো. আলমগীর, খায়রুল বশর, নাছির উদ্দিন, শামসুল আলম, মো. সুলতান সওদাগর, আবু হাসনাত সোহেল, আব্দুর রহমান, মো. ইয়াহিয়া, খালেদা মোশাররফ, আরিফুল ইসলাম মেহেদী, মহিব উল্লাহ, আব্দুল মতিন, আব্দুল হালিম, মো. হামিদ হোসেন, এসএম কিবরিয়া, আলাউদ্দিন রবিন, ঢাকা-গাজীপুর শুটকি বিতানের মালিক, হাজী বিরানী হাউসের মালিক, তারকা রেস্তোরাঁর মালিক, কামাল-কবির, শুটকি বিতানের মালিক, ভাই ভাই সী-ফিস রেস্তোরাঁর মালিক, রাঙ্গাবালি শুটকি বিতানের মালিক, রামী শাহ শুটকি বিতানের মালিক, সী-ফুডস অ্যান্ড বার বিউয়ের মালিক, সিঙ্গারা হাউসের মালিক, ফিস ফ্রাই দোকানের মালিক, ইনসাফ রেস্তোরাঁর মালিক মো. নাজিম উদ্দিন ও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ কাউন্টারের মালিক কাদের খান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর সমুদ্র সৈকতের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে ৫২ জনের দখলবাজ সিন্ডিকেটের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটে। এতে পুলিশের উপর ইট পাটকেল ছুঁড়ে দখলবাজরা। পাশাপাশি পুলিশও ফাঁকা গুলি বর্ষণসহ রাবার বুলেট ছুঁড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় সদর মডেল থানার ওসি ও সাংবাদিকসহ অন্তত দশজন আহত হন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
এএইচ