কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের মামলায় গ্রেপ্তার ইমাম হোসেনকে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস।
দুর্জয় বিশ্বাস জানান, ইমাম হোসেন মাতারবাড়ি এলাকার সাইরার ডেইল এলাকার মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে এবং মামলার প্রধান আসামি বাইট্টা কামালের ভাই। রোববার মধ্যরাতে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকালে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফের আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাকে দু’দিনের রিমান্ডে পাঠান।’
এনিয়ে এই মামলায় পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে ভাসতে থাকা নামবিহীন ট্রলারটিকে নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসে। আর ওই ট্রলারের হিমঘর থেকে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় ২৫ এপ্রিল নামবিহীন ট্রলারটির মালিক নিহত সামশুল আলম ওরফে স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৬০ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন।
পুলিশ এই মামলায় এর আগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের মধ্যে ছয়জন ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন মামলার এজাহারের প্রধান আসামি বাইট্টা কামাল, বাঁশখালীর বাসিন্দা ফজল কাদের মাঝি ও আবু তৈয়ুব মাঝি, মহেশখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়ের হোসেন, চকরিয়ার বদরখালী এলাকার মো. নুর নবীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন মুনির, মাতারবাড়ি ইউনিয়নের সাইরার ডেইল এলাকার এস্তেফাজুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মামলার ৪ নম্বর আসামি করিম সিকদার জবানবন্দি দেননি।
ডিজে