কক্সবাজারের হোটেলে দুদিন ধরে ধর্ষিত স্কুলছাত্রী, সিসিটিভির ফুটেজ ‘ডিলিট’

কক্সবাজারের কলাতলীর এক আবাসিক হোটেলে এবার দুই দিন আটকে রেখে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। হোটেলের ম্যানেজার বলছে, হোটেলে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও ওই তারিখের ফুটেজ ডিলিট হয়ে গেছে।

গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর ১৪ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্রীকে কক্সবাজারের কলাতলীর আবাসিক হোটেল মম’স রিসোর্টে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পরীক্ষার ফলাফল জেনে বাড়ি ফেরার পথে উত্তর নুনিয়ারছড়ার মোহাম্মদ আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে অপহরণ করে। এরপর তাকে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত মমস্ রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।

পরে ১৫ ডিসেম্বর রাতে একটি গাড়িতে করে তাকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। এরা হলেন— কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার নজরুল ইসলাম (৬০), তার ছেলে মো. আশিক (২৭), স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৫৫), আরেক ছেলে মো. কামরুল (৩৪) এবং শহরের ঝাউতলা গাড়ীর মাঠ এলাকার মো. হায়দার ওরফে হায়দার মেম্বারের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৪০)।

কক্সবাজার কলাতলীর আবাসিক হোটেল মম’স রিসোর্টের ম্যানেজার জানিয়েছেন, ১৩-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের হোটেলে এ নামের কেউ ছিল না। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও ওই তারিখের ফুটেজ ডিলিট হয়ে গেছে।

এদিকে মামলার এক সপ্তাহ পার হলেও এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। উল্টো মামলার আসামিরা হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছে স্কুলছাত্রীর পরিবার।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!