ওয়ানডে ক্রিকেটকে না বলে দিলেন তাহির-ডুমিনি

ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে সম্পর্কছিন্ন করতে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপকেই বেছে নিলেন ইমরান তাহির। উইকেট নিয়ে দুই হাত উঁচু করে দৌড়ানো তার ট্রেডমার্ক উদযাপন আর দেখা যাবে না ওয়ানডে মাঠে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ইমরান তাহির। শুধু তাহিরই নন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পর্দা টেনে দিয়েছেন জেপি ডুমিনিও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের লিগ পর্বের ও নিজেদের শেষ ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটকে না বলে দেন দুজনে।

শনিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে সতীর্থদের কাছ থেকে বিদায়ী উপহার হিসেবে দুজনেই পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ রানের নাটকীয় নয়। একই সঙ্গে দলের জন্য সান্ত্বনার জয়। ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বল হাতে তেমন দ্যুতি ছড়াতে পারেননি তাহির। তবে অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে রেখেছেন ভূমিকা।

আর অলরাউন্ডার ডুমিনি প্রোটিয়াদের চমক জাগানিয়া জয়ে সহায়তা করেন ১৪ রান সংগ্রহ করে। টুর্নামেন্টে নিজের ও দলের শেষটা জয়ের রেণুতে রাঙাতে চেয়ে ছিলেন তাহির। ম্যাচের আগে তিনি বলে ছিলেন, ‘দল হিসেবে জয় দিয়ে শেষ করার চিন্তা করতে হবে আমাদের।’ তার চাওয়া বাস্তবে ফলে গেছে ম্যাচ শেষে।

কিন্তু একদিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে বিদায় নিচ্ছেন ভেবেই খারাপ লাগছে তাহিরের, ‘কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেট ছাড়ছি বলে বিমর্ষ ও আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছি।’ বিদায়ের রাগিনী বাজানোর আগে সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি তাহির, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার স্বপ্ন সব সময়্ দেখে গেছি। এ স্বপ্ন পূরণের পথে যারা সহায়তা করেছেন তাদের সবার প্রতি অন্তরিক কৃতজ্ঞতা। বিদেশ থেকে আসার পরও তারা আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন।’

ওয়ানডে ক্রিকেটকে না বলে দিলেন তাহির-ডুমিনি 1
ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া ইমরান তাহির ও জেপি ডুমিনিকে মাঠেই বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।

নিজের অবসর ভাবনা নিয়ে তাহির বলেন, ‘জীবনের বড় এক মুহূর্তের সামনে আমি। যতটা পেরেছি সব সময় ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি। চলে যাওয়ার এখনই সঠিক সময়। বিদায়টা আমার জন্য বেদনাদায়ক আর কষ্টের। কিন্তু আমি নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি এজন্য। তাই প্রত্যাশা করি, দল ও আমার জন্য ভালো কিছু হতে যাচ্ছে।’

বিশ্বকাপে খারাপ খেললেও দল নিয়ে চিন্তিত নন তাহির। তরুণ ক্রিকেটাররা দলকে এনিয়ে যাবেন বলেই মনে করছেন তিনি।

পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান এ ক্রিকেটারের ওয়ানডে অভিষেক হয় ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ক্যাপটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৩২তম জন্মদিনের ঠিক এক মাস আগে। ৪০ বছরের এ লেগ-স্পিনার ওয়ানডে ক্রিকেটের জার্সি তুলে রাখলেন ১০৭ ওয়ানডে ম্যাচে ১৭৩ উইকেট নিয়ে। তার সেরা বোলিং ফিগার- ৪৫ রানে ৭ উইকেট।

৩৫ বছরের জেপি ডুমিনির ওয়ানডেতে অভিষেক হয় কলম্বোতে। ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সীমিত ওভারের ব্যাট-প্যাড তুলে রাখলেন ৮৪.৫৫ স্ট্রাইক-রেটে ১৯৯ ওয়ানডে ম্যাচে ৫১১৭ রান করে। সঙ্গে এ তারকা অফ-স্পিনারের থলেতে আছে ৬৯ ওয়ানডে উইকেট। তার ক্যারিয়ার সেরা স্পেল- ১৬ রানে ৪ উইকেট।

বিশ্বকাপের শুরুর দিকে জয়ের দেখা না পেয়ে আগেই বিশ্বকাপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। অথচ শনিবার ম্যাচে হেরেও শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১১ জুলাই দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বার্মিংহামে অজিদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm