ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকির অবস্থান জানতে চেয়েছেন আদালত

কারাগারেই থাকতে হচ্ছে ওসি প্রদীপকে

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। রোববার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপের জামিন নামঞ্জুর করেন।

দুপুরে আদালতে হাজির করা হয় প্রদীপকে। সেখানে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেন। ফলে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে আলোচিত ওসি প্রদীপকে।

একইসাথে শুনানিতে মামলার আসামি প্রদীপের স্ত্রী চুমকির অবস্থান সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাটিতে স্ত্রীর সঙ্গে প্রদীপকেও আসামি করা হয়েছিল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলী মাহমুদুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ৬ জানুয়ারি আসামি প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবীরা তার জামিনের জন্য আদালতে আবেদন জমা দিয়েছিলেন। আজ রবিবার জামিনের শুনানির দিন ধার্য ছিল।

আমরা আদালতে এ যুক্তি পেশ করেছি যে, আসামির বিরুদ্ধ সম্পদের তথ্য গোপন, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার, মানি লন্ডারিং অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের ক্লু রয়েছে। আর তার স্ত্রী চুমকি পলাতক। তাই এ মুহূর্তে আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে জামিন দিলে সে পলাতক হতে পারে। আর সেটি হলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। সব শুনে আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী সমীর দাশ গুপ্ত চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি, প্রদীপ একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার কত আয় তা নির্ধারিত। আর দুদক যে সম্পদ দেখিয়েছে তা তার শ্বশুড় পক্ষ থেকে পাওয়া। আর প্রদীপ ও তার স্ত্রী সঠিকভাবে আয়কর জমা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তাদের যুক্তি তর্ককে দুদক আষাঢ়ে গল্প বলে ব্যাখা করেছেন। সব শুনে আদালত মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় প্রদীপের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় প্রদীপের আরও একদফা জামিনের আবেদন নাকচ হয়। ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৩ লাখ ১৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় গত বছরের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় সিনহার বোন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামী করে কক্সবাজারের একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!