ওষুধ নিয়ে ধান্ধাবাজি, চট্টগ্রামের ৬ ফার্মেসিতে অভিযান

কোনো বিধিবিধান না মেনেই চলছে চট্টগ্রাম নগরের ওষুধের দোকান। অধিকাংশ ফার্মেসিতেই নেই ফার্মাসিস্ট, কারও নেই ড্রাগ লাইসেন্স, ওষুধ রাখা হয় খোলা তাকে। যে তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণের কথা সে সম্পর্কে ধারণাই নেই ফার্মেসির লোকজনের। শুধু তাই নয়, বেশি দামের আশায় ওষুধের মোড়কে লেবেল টেম্পারিং আর অনুমোদনবিহীন বিদেশি ওষুধও বিক্রি করেন অনেকেই।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নগরের এমনই কয়েকটি ফার্মেসিতে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বিভিন্ন ফার্মেসিকে।

অভিযান পরিচালনাকারী হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রায়হান বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স না থাকা, ফার্মাসিস্ট উপস্থিত না থাকা, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি ও মজুদ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, ওষুধের মোড়কে লেবেল টেম্পারিং, সঠিক তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ না করা, অনুমোদনবিহীন বিদেশি ওষুধ বিক্রির অপরাধে ড্রাগ আইন ১৯৪০ এর ১৮ ধারায় বর্ণিত শর্ত ভঙ্গ করায় নগরের ৬টি ওষুধের দোকানকে জরিমানা করা হয়েছে।

ওষুধ নিয়ে ধান্ধাবাজি, চট্টগ্রামের ৬ ফার্মেসিতে অভিযান 1

এর মধ্যে দেওয়ানহাট এলাকার নিহা ড্রাগ হাউজকে ২০ হাজার টাকা, শতমূল বনাজী চিকিৎসালয়কে ২৫ হাজার টাকা, জুবিলি রোডের নোবেল মেডিক্যাল হলকে ৫০ হাজার টাকা, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেইন গেট সংলগ্ন ফাতেমা ফার্মেসি অ্যান্ড সার্জিক্যালকে ২০ হাজার টাকা, গাজী ফার্মেসি অ্যান্ড সার্জিক্যালকে ৩০ হাজার টাকা এবং রাবেয়া ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে র‍্যাব-৭ এর মেজর মেহেদী হাসান ও তার টিম সহায়তা করেন। এছাড়াও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা প্রসিকিউটর হিসেবে সহায়তা করেন।

আরএ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!