ওমানের দুর্ঘটনায় আহত এক প্রবাসী পুলিশের জিম্মায়, দুজন ফিরেছেন বাসায়
আইসিইউতে এখনও সংকটাপন্ন প্রবাসী দিদার
ওমানের দুকুম শহরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে মহিউদ্দিন ও ইসমাইল নামে দুই বাংলাদেশি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। তবে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় রাশেদ নামে একজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে রয়েল ওমান পুলিশ। সড়কের ওই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন পাঁচ বাংলাদেশি।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ওমানের স্থানীয় সময় রাত সাতটার দিকে মহিউদ্দিন ও ইসমাইলকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একই সময়ে রাশেদকে নিজেদের হেফাজতে নেয় রয়েল ওমান পুলিশ।
এদের মধ্যে মহিউদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নে। অন্যদিকে ইসমাইল ও রাশেদের বাড়ি সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ওমানের দুকুম শহরে স্থানীয় সময় ভোর ৬ টার দিকে ঘটা এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। নিহত ৫ জনের লাশ ওমানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর হাইমার একটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ওমানের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে আশংকামুক্ত হওয়ায় আশ্রাফকে আইসিইউ থেকে সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যজন দিদার এখনও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই দুজনের বাড়িই সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়নে।
ওমানপ্রবাসী সন্দ্বীপের বাসিন্দা মিজানুর রহমান ফরহাদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান ফরহাদ বলেন, ‘আহতদের মধ্যে তিনজনের আঘাত গুরুতর ছিল না। তাদের মধ্যে মহিউদ্দিন ভাই আর ইসমাইল ভাই বাসায় ফিরে এসেছেন। রাশেদ ভাইয়ের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় উনাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে গেছে। উনার ডান হাত ভেঙে গেছে। পুলিশ হেফাজতে উনার চিকিৎসা চলবে। আর বাকি দুজনের তেমন কোনো আঘাত নেই। উনারা বাসায় সুস্থ আছেন। উনারা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ওমানের দুকুম শহরে স্থানীয় সময় ভোর ৬ টার দিকে ঘটা এই দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। নিহত ৫ জনের লাশ ওমানের রাজধানী হাইমার একটি মর্গে রাখা হয়েছে।
দূর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে থাকা ওমান প্রবাসী মিজানুর রহমান ফরহাদের সাথে আলাপ করে দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের নাম প্রকাশ করেছিল চট্টগ্রাম প্রতিদিন। পরে প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে দেওয়া তালিকাতেও একই ব্যক্তিদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। সেই ৫ জন হলেন মিনহাজ, ফারুক, মামুন, রুবেল ও মিলাদ। তবে এর মধ্যে যার নাম রুবেল বলা হয়েছে, তার আসল নাম রবিন। রবিনের বাড়ি সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউনিয়নে।
এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের ৫ জনের বাড়ি সন্দ্বীপ বলে জানা গেলেও নিহতদের মধ্যে মিলাদের বাড়ি হাতিয়ার মনপুরায়। তবে তার মায়ের বাড়ি সন্দ্বীপ। বাকি ৪ জনের বাড়ি সন্দ্বীপেই।
এআরটি/সিপি