আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে এস আলমের মা-ছেলে ঢাকায় চলে গেলেন

চার ভাই যাবেন রোববার

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মা চেমন আরা বেগম এবং ছেলে ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম মারুফকে রিপোর্ট আসার আগেই শনিবার (২৩ মে) দুপুরেই চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৩ মে) চট্টগ্রাম নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডের বাসা থেকে আইসিইউযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সে করে এই দুজনকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে আরও ছিলেন আহসানুল আলম মারুফের স্ত্রী ও চার মাস বয়সী সন্তান। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার গুলশানে সাইফুল আলম মাসুদের নিজস্ব বাসভবনে তারা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে অবস্থান করছেন বর্তমানে।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া এস আলম পরিবারের অন্য চার সদস্যকেও ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এরা হলেন এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৬০ বছর বয়সী রাশেদুল আলম, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩ বছর বয়সী আবদুস সামাদ লাবু, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম এবং এস আলম গ্রুপের পরিচালক ৪৫ বছর বয়সী ওসমান গণি। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওই পরিবারের ৩৬ বছর বয়সী এক নারীও। ওই নারী তাদের এক ভাইয়ের স্ত্রী বলে জানা গেছে।

রোববার (২৪ মে) এদের সবাইকে আইসিইউযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে সাইফুল আলম মাসুদের পারিবারিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর মধ্যে শুক্রবার (২২ মে) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে এস আলম পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং শিল্পপতি সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই মোরশেদুল আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে মারা গেছেন।

বড় ভাইকে আইসিইউতে জায়গা করে দিতে তুলনামূলক সুস্থ থাকা ছোট ভাই রাশেদুল আলম চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বেড থেকে ফিরে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরিবাররের বাকিরাও নগরীর সুগন্ধার বাসাতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবার অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, রাশেদুল আলমকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া লাগলেও বাকিদের সেটার প্রয়োজন হচ্ছে না। অন্যদিকে রাশেদুল ইসলামের অবস্থাও আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!