বন্ধ ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ আবার কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কারখানাগুলোতে অন্তত ১২ হাজার কর্মী কাজ করেন।
কারখানাগুলো হলো— চিনি প্রক্রিয়াজাত কারখানা এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্পাতের পাত প্রক্রিয়াজাত কারখানা এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস ও ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢেউটিনসহ ইস্পাতপণ্য তৈরির কারখানা এস আলম স্টিল, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস নফ, চেমন ইস্পাত ও গ্যালকো স্টিল এবং ব্যাগ তৈরির কারখানা এস আলম ব্যাগ লিমিটেড। এর মধ্যে ঢাকাভিত্তিক গ্যালকো স্টিল ছাড়া বাকি সব কারখানাই চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে মইজ্জারটেক এলাকায় অবস্থিত।
বছরের শেষ দিন মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ২৪ ডিসেম্বর জারি করা কারখানা বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করা হলো। ১ জানুয়ারি থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।’
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর এস আলম গ্রুপের আটটি কারখানা হঠাৎ করে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিন দুপুরে কারখানাগুলোতে বন্ধের নোটিশ টাঙানো হয়।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে সরকারপ্রধানের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ব্যাংক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। এর মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম একাই এক হাজার কোটি ডলার দেশের বাইরে পাচার করে নিয়ে গেছেন। এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যাংক ডাকাতির এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা।
আহসান মনসুর আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি পাচার করেছে।