এস আলমের জাহাজের ধাক্কা কালারপুল সেতুতে, বিক্ষুব্ধ জনতার পাথর নিক্ষেপ

চট্টগ্রামের পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা-পটিয়ার নির্মানাধীন কালারপুল সেতুর পিলারের সাথে এস আলম গ্রুপের একটি সিআর কয়েলের পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেতুর মাঝামাঝি অংশে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, এস আলম গ্রুপের সিআর কয়েলের পণ্যবাহী একটি বার্জ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেতু এলাকা পার হওয়ার সময় পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে আটকে যায়। পরে অন্য একটি বার্জের সহযোগীতায় মালামাল আনলোড করে সেটিকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা জাহাজের শ্রমিকদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

জানা যায়, ১৯৯৫ সালে শিকলবাহা খালের উপর প্রথম সেতু নির্মাণ হয়। ২০০৭ সালের ১৮ নভেম্বর এস আলম কারখানার টিনের কয়েল বোঝাই বার্জের আঘাতে সেতুর দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্প্যান নদীতে পড়ে যায়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ২০০৯ সালের এপ্রিলে কংক্রিট বেইজড গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য ২১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পাকা সেতু নির্মাণে আরেক দফা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে কাজের টেন্ডার হয়। ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল ঠিকাদারের।

কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির কারণে যথাসময়ে এ কাজ শেষ হয়নি। ফলে সড়ক বিভাগ কাজের মেয়াদ দুইবার বৃদ্ধি করে। ২০২০ সালের ৩০ জুনেও কাজ শেষ না হওয়ায় ফের সময় বর্ধিত করা হয়।

গত বছরের ২৫ শে জুন রাতে হাইড্রোলিক জ্যাকের (ক্রেন) মাধ্যমে গার্ডার বসানোর সময় হঠাৎ জ্যাকের পাইপ ফেটে যায়। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনটি গার্ডার পড়ে যায় নদীতে। একটি গার্ডার থেকে আরেকটি গার্ডারের দূরত্ব দুই মিটার। যে কারণে একটির ধাক্কায় তিনটি গার্ডার পড়ে যায়। ওই সময় দুই জন শ্রমিক আতহ হন।

তখনও সেতু তৈরীতে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের তীর তোলা হয় টিকাদার প্রতিষ্ঠান আর সওজ’র বিরুদ্ধে।

কোলাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চৌধুরী জানান, এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জেনেছি সেতুর সাথে কয়েল বোঝাই একটি বার্জের সামান্য ধাক্কা লেগেছে। তেমন বড় ধরনের সমস্যা হয়নি।

দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, সেতুর সাথে বার্জের সামান্য ধাক্কা লেগেছে। বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ওই প্রতিষ্ঠানকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। লিখিত ভাবেও করা হবে।

তিনি আরও জানান, সেতুর ৯৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজগুলো আমরা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!