চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরির এসএ পরিবহনে গাড়িতে করে চোরাচালানের সময় ৫১ কোটি ৯১ লাখ টাকার ফেব্রিক্স আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা। এই চোরাচালানে ৮ দশমিক ৬ মেট্রিক টন নিট ফেব্রিক্স পাচার করা হচ্ছিল।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, চোরাকারবারিরা এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে পণ্যচালান পাচার করছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে নজরদারি বাড়ানো হয়। এতে কাভার্ডভ্যান (ঢাকামেট্রো-ট-১১-৯১২১) আটক করা হয়। সিল খুলে কাভার্ডভ্যানের ভেতরে থাকা পণ্য ইনভেন্ট্রি করা হয়।
এতে দেখা যায়, ৩৫৬টি প্যাকেজ (১২৮ টি বস্তা এবং ২২৮ টি রোল) সাদা, সানা প্রিন্ট, হলুদ, জলপাই, হালকা বেগুনিসহ আটটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের ৮৬১২.৭৯ কেজি নিট ফেব্রিক্স পাওয়া যায়।
আরও জানা গেছে, আটক কাভার্ডভ্যান কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যার একটি গার্মেন্টস থেকে নিট ফেব্রিক্স লোড করে শাহ আমানত সেতু পার হয়ে রাত দেড়টায় কাজির দেউরিতে আসে— যা নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসএ পরিবহন কাস্টমস গোয়েন্দা দলে উপস্থিতি টের পেয়ে কাভার্ডভ্যানটি তাদের নিজস্ব অফিসে নিয়ে আসে।
চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা ভাড়ায় প্রচলিত কাভার্ডভ্যানে পরিবহন না করে এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা ভাড়ায় পরিবহন করা হচ্ছিল ফেব্রিক্সগুলো।
কিন্তু আটক এসব পণ্যের মালিকানা দাবি করেন মো. নজরুল ইসলাম নামের একজন বিডার। তার নিলাম দলিল ও চট্টগ্রামে কাস্টমসের রেকর্ডপত্র ঘেঁটে কাস্টমস গোয়েন্দারা দেখেন, ২০২০ সালে আমদানি করা পণ্য, যা তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে নিলামে ক্রয় করেছেন। কিন্তু পণ্যের গায়ে ২০২২ সালের আমদানি করা স্টিকার লাগানো রয়েছে।
মালিকানা দাবিদার ব্যক্তির প্রদর্শন করা কাগজপত্র ও কাস্টমসের কাগজপত্র দেখে মিল না পেয়ে পণ্য চালানটি জব্দ করে কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
এছাড়া আটককৃত পণ্যচালানের সঙ্গে মূল্য সংযোজন করের (মূসক) চালান পাওয়া যায়নি।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক উত্তম চাকমা বলেন, ‘এসএ পরিবহনে গাড়িতে করে চোরাচালানের সময় ৫১ কোটি ৯১ লাখ টাকার ফেব্রিক্স আটক করা হয়েছে। চোরাচালানে ৮ দশমিক ৬ মেট্রিক টন নিট ফেব্রিক্স পাচার করা হচ্ছিল এসএ পরিবহনের যোগসাজশে। চোরাচালানে এসএ পরিবহনও জড়িত।’
এএস/ডিজে