এলবিয়নের রাইসুল বাবা-ভাইসহ মামলার জালে, প্রতারণা করে চুক্তিভঙ্গের নালিশ

প্রতারণা করে চুক্তিভঙ্গসহ একাধিক অভিযোগে মামলা হয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকতসহ তার ছোট ভাই ও বাবার বিরুদ্ধে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণা, জাল দলিল বানানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রথম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন ইনোভেটিভ ফার্মার স্বত্বাধিকারী কাজী মোহাম্মদ শহিদুল হাসান।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিপক্ষের আইনজীবী সুলতান মোহাম্মদ অহিদ।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন— এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাইসুল উদ্দিন সৈকত, তার ছোট ভাই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মুনতাহার উদ্দিন (৩৭) এবং তাদের বাবা নিজাম উদ্দিন (৬৫)। তারা সবাই চট্টগ্রামের গোলপাহাড় ওআর নিজাম রোডের সুবর্ণ আবাসিক এলাকায় থাকেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ১০ বছরের জন্য পরিবেশক হিসেবে ইনোভেটিভ ফার্মাকে নিয়োগ দেয় এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী এলবিয়ন গ্রুপ ওষুধ তৈরির পর তা বাজারজাত করবে ইনোভিটিভ ফার্মা। এসব ওষুধ বিক্রির ৪০ শতাংশ পাবে এলবিয়ন গ্রুপ ও ৬০ শতাংশ পাবে ইনোভেটিভ ফার্মা। চুক্তি শেষ হওয়ার আগে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশক নিয়োগ দিতে পারবে না তারা। কিন্তু তারা চুক্তির এই শর্ত ভঙ্গ করেছে।

২০১৬ সালের আগস্টে ট্যাক্স ফাঁকি দিতে ইনোভেটিভ ফার্মার গোডাউনে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার ওষুধ রাখে। এর বিনিময়ে ইনোভেটিভ ফার্মার কাছ থেকে নয়টি খালি চেক নেন। এসব ওষুধ বিক্রির পর শতভাগ মূল্য পরিশোধ করলে চেক ফেরত দেবে বলে জানায় এলবিয়ন গ্রুপ। কিছুদিন পর এলবিয়ন গ্রুপ তাদের ওষুধ ফেরত নিয়ে যায়। কিন্তু ইনোভেটিভ ফার্মাকে চেক ফেরত দেয়নি।

পরে ২০২১ সালের ২৯ জুন এসব চেকের মাধ্যমে এলবিয়ন গ্রুপ ১৭ কোটি ৬৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৯ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে। এছাড়া চেক ফেরত চাইলে তা দেবে না বলে জানায় এলবিয়ন গ্রুপ। পরে এই বিষয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মামলার বাদি।

সম্প্রতি এসব চেক ফেরত চাইলে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দেন এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রাইসুল উদ্দিন সৈকত। এছাড়া এসব চেক ফেরত পেতে ২ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি।

আরএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm