এলএ কর্মকর্তা ও দালাল চক্রের পকেটে ১৩ লাখ টাকা, ভূমি মালিকের মাথায় হাত!

চট্টগ্রাম ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় কয়েকজন দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী (বঙ্গবন্ধু) টানেল সড়কের জন্য অধিগ্রহণ ভূমির ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ করেছেন আনোয়ারার চাতরী ইউনিয়নের পাঁচ সিকদার বাড়ির আবুল হোসেনের পুত্র মো. নুরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের উপপরিচালক বরাবরে লিখিত এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এ ঘটনায় গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভোক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে সাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ আরিফ, জামাল উদ্দিনসহ ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন- চট্টগ্রাম এলএ শাখার ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা কায়সার খসরু, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক, সার্ভেয়ার মো. মুক্তার হোসের, আবদুর রব, আবু কাউসার সোহেল, স্থানীয় নুরুল কবির, নবী হোসেন, ফরিদুল আলমসহ ১৮ জন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের বেলচুড়া মৌজার ১৮ শতক জমির মধ্যে অধিগ্রহন করা ৭.৫ শতাংশ জমির মালিক নুরুল ইসলাম। সেই মতে দীর্ঘদিন ভোগ দখলেও ছিলেন তিনি। কিন্তু সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প “কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন কর্ণফুলী (বঙ্গবন্ধু) টানেল সড়কে ভূমি অধিগ্রহণে এলএ মামলা নং- ৩০/২০১৬-২০১৭ মূলে অধিগ্রহণ করলেও তপশীভুক্ত সম্পত্তির মালিক হিসেবে জানতে পারেন তিনি ক্ষতি পূরণের টাকা পাবেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নিস্পত্তির তারিখ জানানো হবে বলে কোনও ধরণের তথ্য প্রদান না করে সুকৌশলে এলএ শাখার দালালরা ৫০% কমিশন দাবি করেন। তিনি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জমির টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

ভোক্তভোগী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমার মোট জমি ১৮ শতক। অধিগ্রহন করা ৭.৫ শতাংশ জমির মালিক আমি নিজে। সে হিসেবে আমি ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ২০৫ টাকা পাই। কিন্তু এলএ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় কিছু দালাল চক্র মিলে সে টাকাগুলো তুলে নেয়। আমি লিখিত আপত্তি জানানোর পরেও কোন ফিল্ড সার্ভেয়ার ছাড়া পরিকল্পিতভাবে আমার ক্রয় করা জমির ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তারা। আমি এসব থেকে প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলাও করেছি জড়িতদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দুনীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি।

তবে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চট্টগ্রাম এলএ শাখার ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা কায়সার খসরুর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক শরীফ উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে একটি অভিযোগ করেছে। এটি অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। অনুমোদন হয়ে আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!