চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসার এক শিশুকে বেদম পিটিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় এখনো সারাদেশে নিন্দার ঝড় বইছে। এর মধ্যেই এবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি মাদ্রাসার চার শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত শিক্ষককে এরই মধ্যে আটকও করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাংগিয়া রংগিপাড়া হেফজখানা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আব্দুল্লাহ নামে এক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ‘চার শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল্লাহ নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। সেই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগ পেয়ে শিক্ষক কামরুলকে আটক করা হয়েছে।’
জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে ছয় বছর বয়সী আব্দুল্লাহকে গারাঙ্গিয়া রঙ্গিপাড়া হেফজখানা ও এতিমখানায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকালে পড়া না পারার অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম তাকেসহ আরও চার শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে। শুক্রবার শিশু আব্দুল্লাহ বাড়িতে ফেরার পর তার মা শরীরে মারধরের চিহ্ন দেখতে পান।
এ সময় আব্দুল্লাহ তার মা-বাবাকে জানায়, পড়া না পারার কারণে শিক্ষক তাকে মারধর করেছে। শুধু তাই নয়, মারধরের বিষয়ে বাড়িতে কাউকে না বলার জন্য তাকে নিষেধ করেছে। এর পরপরই আব্দুল্লাহকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে তাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। শিশুটি এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন।
এমএহক