হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রবিউল হোসেনের স্ত্রী কুলসুমা আকতারের বিরুদ্ধে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার (১১ আগস্ট) পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে টিকা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয় রবিউল হোসেন।
হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রবাল চক্রবর্তীকে।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাদিয়া আক্তারকে কমিটির সদস্য সচিব এবং আশিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. রাজীব দে’কে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়ছে।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার সব্যসাচী নাথ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের আদেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ আগস্ট সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ ফজলে রাব্বি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তদন্ত কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনুমতি না নিয়ে উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নে দুইদিনব্যাপী টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তার স্ত্রী স্বাস্থ্য সহকারী কুলসুমা আকতার অনুপস্থিত থাকলেও রবিউল নিজেই হাজিরা দিয়ে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
মাসখানেক আগে ঊর্ধ্বতনের কাছে লিখিতভাবে এসব অভিযোগ করেছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা (ইউএইচএফপি) ডা. সব্যসাচী নাথ।
এমএফও