চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রেজাউল নামের স্থানীয় এক লোকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটার দিকে মূল ফটকে তালা দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে সাড়ে দশটার দিকে ফটক খুলে দেয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট এলাকায় সাদেক হোসেন টিপুকে মারধর করা হয়।
টিপু বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা।
অন্যদিকে মারধরকারী রেজাউল করিম স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফের ছোট ভাই। হানিফের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, সাদেক এক নম্বর গেইট এলাকায় বসে চা খাচ্ছিলো। এসময় রেজাউল নামের স্থানীয় ওই লোক তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা তার গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচীতে যেতে বাধ্য হবো।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত রেজাউল করিম বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট সংলগ্ন গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে একটি গ্যারেজে মোটরসাইকেল ঠিক করাচ্ছিলাম। এসময় টিপু গ্রামীণ ব্যাংকের পেছন থেকে আসছিলো। যেখান থেকে কয়েকদিন আগে এক ইয়াবা সেবনকারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। আমার এক ছোট ভাই তার পথ আটকালে সে পানির দিকে কিছু একটা ছুঁড়ে মারে। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি হয়। তবে তাকে মারধরের বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, তাদের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিব। ঠুনকো বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক অবরোধ করা আমরা বরদাশত করব না।
এমআইটি/এমএহক