কক্সবাজারের উখিয়ায় ওয়ার্ল্ড ভিশন নামের একটি এনজিও সংস্থার গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ ধরনের অস্ত্র বিতরণের অনুমতি পত্র না থাকায় ওয়ার্ল্ড ভিশনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের মুহুরিপাড়া এলাকায় এনজিও ওয়ার্ল্ড ভিশনের ওয়্যারহাউজ (গুদাম) থেকে এসব দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিএসবিসহ গণমাধ্যমে সংবাদ চাওর হলে ওয়ার্ল্ড ভিশন নামক এনজিও’র একটি গুদামে ধারালো দা, শাবল ইত্যাদি মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন কিংবা আরআরআরসি’র কোন ধরনের অনুমতিপত্র দেখাতে পারেনি তারা। পরে ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো জব্দ করে উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি বিহীন এ ধরনের দেশীয় অস্ত্র রোহিঙ্গাদের মাঝে সরবরাহের জন্য মজুদ করার বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কো-অর্ডিনেটর আবদুল বারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।
এদিকে ক্যাম্প কেন্দ্রিক সেবার নামে কিছু কিছু এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহের নামে দেশীয় অস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে স্থানীয়রা। রোহিঙ্গারা বর্বর প্রকৃতির। তারা যে কোনো মুহূর্তে মানুষ খুন করতে দ্বিধা করে না। তৎমধ্যে এনজিওর এ ধরনের দেশীয় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে বাধাগ্রস্ত করার নীল নকশা বলে ধারনা করছে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার বলেন, এনজিওগুলোকে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করা উচিত। এ ধরনের ধারালো সরঞ্জাম বিতরণের বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কড়া নজরদারি ও খতিয়ে দেখার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট কোটবাজার স্টেশনে ভালুকিয়া সড়কের রনজিত দাশের কামারের দোকান থেকে এনজিও মুক্তি’র নামে অর্ডারকৃত বিপুল বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র জব্দ করে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন। পরে ৪ সেপ্টেম্বর উখিয়ার মালভিটাপাড়াস্থ শেড অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ ধারালো দা, খুন্তি, বেলচা, হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
এএইচ