এক রাতে এতো বুদ্ধিজীবী হত্যার নজির নেই—আইআইইউসিতে উপাচার্য আরিফ

পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার অভিপ্রায়ে বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তানি হায়েনারা হত্যা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী বুঝতে পারে তাদের পরাজয় অনিবার্য। তখন তারা এই জাতিকে মেধাশূন্য করে দেওয়ার নীলনকশা আঁকে। এটি বাস্তবায়ন করতে তারা কাজে লাগায় আলবদর-আলশামসকে। তারা কতটা নির্মম নরপিশাচ হলে শান্তিপ্রিয় সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি, নাট্যকার, চিকিৎসকদের বেছে বেছে হত্যা করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বিজয়মুকুট যখন বাঙালি জাতির জন্য অবধারিত হয়ে গিয়েছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে তারা মুনীর চৌধুরী, শহীদুল্লা কায়সার, আলতাফ মাহমুদ, নিজামুদ্দীন আহমদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীনের মত ব্যক্তিত্বদের বুকে গুলি চালায়। এর কারণ হলো পাকিস্তানিদের শোষণ, নিপীড়ন, অপশাসনের বিরুদ্ধে তারাই বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিবাদ করেছিলেন মেধা দিয়ে। তারাই জাতিকে পথ বাতলে দিয়েছেন।’ মাত্র এক রাতে একটি শহরে এত সংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যার নজির পৃথিবীতে আর নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআইইউসি উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মছরুরুল মওলা।

আরও বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টের সদস্য ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমেদ চৌধুরী, বোর্ড অব ট্রাস্টের সদস্য ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম, আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ শফিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার ফর ইসলাম এন্ড ইন্টাররিলিজিয়াস ডায়ালগের (বিআরসিআইআইডি) পরিচালক মো. ছরওয়ার আলম,
ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেসের (আইএমএল) পরিচালক মুহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!