চট্টগ্রাম নগরীতে চারজনসহ সারাদেশে ৬৫ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সব থানা, ব্যারাক ও পুলিশ লাইন্স ঘিরে। এটা অনেকটা ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির’ মতোই।
‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ নামে পুলিশের এই বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী সংকটকালীন পরিস্থিতিতে থানাগুলোতে বিকল্প কোন্ কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব পালন করবেন— সেটা ঠিক করে রাখা হবে আগেই। যদি মূল ওসি করোনায় আক্রান্ত হন, তাহলে আগে থেকে ঠিক করে রাখা বিকল্প একজন ওসির দায়িত্ব পালন করবেন। আবার তিনিও যদি করোনায় আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিকল্প একজন কর্মকর্তা ওসি হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
করোনা পরিস্থিতি সমন্বয়ে প্রতিটি থানায় থাকবেন একজন করে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা। তার বিকল্পও থাকবেন আরেকজন। থানার কোনো পুলিশ সদস্যের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাকে আইসোলেশনে রাখার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করে রাখা হবে।
ওই পরিকল্পনায় রয়েছে থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইন্সে থাকা সদস্যদের বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা। অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের আবাসন অনুযায়ী বিভিন্ন ক্লাস্টারে ভাগ করা হবে। যাতে কোনো একজন আক্রান্ত হলে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা কম থাকে। কোন্ ক্লাস্টারের সদস্যরা কোন্ সময় দায়িত্ব পালন করবেন, সে ব্যাপারে থাকবে বিশেষ তালিকা। করোনা সরঞ্জামের পরিমাণ এবং মজুদ সরঞ্জামের পরিমাণ তদারক করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট কর্মকর্তা।
করোনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে যেসব সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তারা প্রতিদিন একটি করে জিঙ্ক ট্যাবলেট খাবেন। বহু বছর ধরে জিংক প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। খাদ্যগ্রহণের রুচি বজায় রাখা, প্রজনন স্বাস্থ্য, ত্বক, হাড়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজ ছাড়াও ২ শতাধিক এনজাইমের কাজে কো-ফ্যাক্টর হিসেবে এটি ভূমিকা রাখে।
সিপি