একুশে পদকপ্রাপ্ত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরর জীবনাবসান

বাংলাদেশের বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু একুশে পদকপ্রাপ্ত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের পরলোক গমন করেছেন। তিনি রাজধানীর সবুজবাগের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের মহাধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি শুদ্ধানন্দ মহাথেরের পবিত্র আত্মার শান্তি কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, ভক্ত-শিষ্য-অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মঙ্গলবার (৩মার্চ)সকাল ৮টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুদ্ধানন্দ মহাথের মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিনযাবৎ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টিপ্রচার সংঘের সভাপতি,বিশ্ব বৌদ্ধ সৌভ্রাতৃত্ব সংঘের (WFB)সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি সংঘনায়ক বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরোর শিষ্য ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘অহিংস মতাদর্শের অগ্রদূত শুদ্ধানন্দ মহাথের ছিলেন সমাজসেবায় আত্মনিবেদিত একজন মানবতাবাদী শান্তির দূত। ধর্ম বর্ণ গোত্র সম্প্রদায় নির্বিশেষে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি এবং বাঙালির ভ্রাতৃত্ববোধকে সুসংহত করতে শুদ্ধানন্দ মহাথের-এর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর প্রয়াণ বাংলাদেশ ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া শুদ্ধানন্দ মহাথেরর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ,বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-ক্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আগামী ৭মার্চ ঢাকার ধর্মরাজিক বিহারে সংঘদান অনুষ্ঠান এবং ১৪ মার্চ পেটিকাবদ্ধ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

এসবি

Yakub Group

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!