ঝুঁকিতে প্রতিদিন হাজারও মানুষের যাতায়াত চরপাথরঘাটায়

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা গ্রামে কর্ণফুলী নদী থেকে আসা খালের ওপর লোহার তৈরি নয়াহাট সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার কয়েকটি গ্রামের ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে।

সেতুর জরাজীর্ণ পাটাতনের ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে হাজারও মানুষ। এলাকাবাসী মনে করেন, এখানে নতুন সেতু হলে সেই একটি সেতুই বদলে দিতে পারে হাজার মানুষের ভাগ্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চরপাথরঘাটা গ্রামের ওপর দিয়ে কর্ণফুলী নদী থেকে বয়ে আসা খালের ওপর লোহার তৈরি নয়াহাট সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

চরপাথরঘাটা গ্রামের পুরাতন ব্রিজঘাট হয়ে শহরগামী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, পোশাক শ্রমিক, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সেতু। বর্তমানে সেতুর অবস্থা খুবই নাজুক। সেতুটি পুরনো হয়ে মরিচা ধরে পাটাতন খুলে যাচ্ছে।

সেতুর ওপর দিয়ে বড় কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীকে।

স্থানীয় সামাজিক সংগঠন চরপাথরঘাটা মুক্ত বিহঙ্গ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সেলিম হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকার মানুষ কাঠের তৈরি একটি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করত। পরে ১৯৯৬ সালের স্থানীয় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানালে তাঁকে এলাকাবাসী সেতুটির দুর্ভোগের বিষয়য়ে জানায়।

তখন তিনি লোহা দিয়ে সেতু তৈরি করে দেন। বর্তমানে এখনো এ অবস্থায় রয়েছে সেতুটি।

স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ সাজিদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতেও হয়। এ এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি নতুন সেতু হলে বদলে যাবে এ এলাকার চিত্র।

চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী সাবের আহমদ বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় আছে। তবে অনেক সময় পরিষদ থেকে সেতুটি মেরামত করে দেওয়া হয়। ভূমিমন্ত্রী মহোদয় আমাদের বলেছেন, একটি সেতু নির্মাণ করে দেবেন।

এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm