চট্টগ্রামে রেলওয়ে থানা একটিই। অথচ পরিত্যক্ত থানা কার্যালয়ে থানার সাইনবোর্ড ঝুলছে এখনও। ২০ গজের মধ্যেই শোভা পাচ্ছে একই থানার দুই সাইনবোর্ড। আসল থানা কোনটি এ নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দুষছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেলওয়ের পুরাতন স্টেশনের ওভারব্রিজের পাশে অবস্থিত চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা। ২০ গজ দূরেই রাস্তার বিপরীত স্থানে আবারও একই রকম এরকম সাইনবোর্ড দেখা যায়।
চট্টগ্রাম পুরাতন স্টেশনের ওভারব্রিজের বাম পাশে গিয়ে দেখা যায়, রেলওয়ে থানা কার্যালয়ের ওপরে টাঙানো সাইনবোর্ডের রং বিবর্ণ। থানা অতিক্রম করে ২০ গজ এগুলে রাস্তার বিপরীতে খাবার হোটেলের পাশেই দেখা মিলবে দরজায় লাল রং করা গেট। যেখানে লালের উপর সাদা রঙে লেখা চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা। এই সাইনবোর্ড দেখে অনেকেই মনে করেন এটাই ‘চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা’।
পরিত্যক্ত থানার গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে সেখানে বিশাল পানির হাউস, টয়লেট ও ডানদিকে কয়েকজন লোকও খুঁজে পাওয়া গেল। পাশের চায়ের দোকানের কর্মচারীরা হাউসভর্তি পানিতে গোসল ও সবজি ধোয়ার কাজ করছে।
সেখানে উপস্থিত ফজলু (২৫) বলেন, ‘পরিত্যক্ত থানার ভেতরে টয়লেট, বাথরুম। বলা যায় বাইরে থানা ভেতরে পরিত্যক্ত ময়লার ভাগাড়। এ জায়গাটির পানি বাথরুম ভাড়া দেওয়া হয়েছে হোটেল মালিকের কাছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন (৪০) বলেন, ‘পাশাপাশি একই স্থানে দুটি থানা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড থাকায় অনেকেই বিব্রত হয়েছেন।’
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জায়গাটি আসলে পরিত্যক্ত। তবে সেখানে থানার সাইনবোর্ড এখনো কেন আছে, পরিত্যক্ত হলে সেটির গেট উন্মুক্ত কেন? প্রশ্ন করলে এর উত্তর পাওয়া যায়নি।
এসএস