এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মাত্র ১০৫ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবেছিল পাকিস্তান! ১৩.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ম্যাচটা জিতে নিয়েছিলেন ক্রিস গেইলরা। সেই হারের ধাক্কা সামলে উঠতে আজ সোমবার এমনই এক প্রতিপক্ষ সামনে যারা উড়ন্ত সূচনায় শুরু করেছে মিশন। ইংল্যান্ড ফেভারিটদের ফেভারিট। যারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে।
একদিকে উজ্জীবিত ইংল্যান্ড, অন্যদিকে নড়বড়ে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামর অপেক্ষায় দুদল। পাকিস্তানের লক্ষ্য বাজে হারের ধাক্কা সামলে ছন্দে ফেরা। আর ইংল্যান্ডের লক্ষ্য পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে প্রথম শিরোপার পথে এগিয়ে যাওয়া। দুই বিপরীত মেরুর দল সোমবার নটিংহ্যামে মুখোমুখি হবে।
ইংল্যান্ডের শক্তির বড় জায়গা শক্তিশালী ব্যাটিংলাইনের পাশাপাশি দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা। স্বাগতিক দল ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৪৪ রান এবং গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৮১ রান তুলেছিল নটিংহ্যামের যে পিচে, সোমবারের ম্যাচটি সেই পিচেই হবে। ফলে রানবন্যার ম্যাচের অপেক্ষায় রোমাঞ্চ নিয়ে প্রতীক্ষা ক্রিকেটপ্রেমীদের।
ইয়ন মরগান, জেসন রয়, জো রুট- ইংল্যান্ডের টপ এবং মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা রানের মধ্যেই রয়েছেন। বেন স্টোকস বল এবং ব্যাট- দুটোতেই সমান সফল। গত মাসে পাকিস্তানকে ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত করা ইংল্যান্ড ফেভারিট হিসেবেই নামবে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল ও ওশানে থমাসের শর্ট বল আর বাউন্সে নাকাল হয়েছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। জফরা আর্চার, মার্ক উড ও লিয়াম প্লাঙ্কেটরাও শর্ট বলের সঙ্গে বাউন্স-গতির মিশেলে একই পরীক্ষা নেবেন ফখর-বাবরদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যর্থতার জের ধরে পাকিস্তান দলে পরিবর্তন আসতে পারে। ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়াতে শোয়েব মালিককে একাদশে ফেরাতে পারে ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। বোলিংয়ের শক্তি বাড়াতে মোহাম্মদ হাসনাইন ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দলে ফেরাতে পারে টিম পাকিস্তান।
টানা ১১টি ওয়ানডেতে পরাজিত হওয়া পাকিস্তান ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য অনুপ্রেরণা নিতে পারে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে। সেবার শিরোপা জেতার পথে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল সরফরাজের দল।
ইংল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারানো পাকিস্তানের জন্য কষ্টকরই হবে। তবে টপ ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা যদি জ্বলে উঠতে পারেন এবং বল হাতে মোহাম্মদ আমিররা নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে পারেন, তাবে হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার পাশপাশি ছন্দে ফিরতে পারবেন সরফরাজরা।