উন্নত ও মানবিক জাতি গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) স্প্রিং ২০২৩ সেমিস্টারের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা করেন।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, এলজিইডিই’র প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন, ভারতীয় সহকারী কমিশনার ড. রাজিব রঞ্জন, আইআইইউসি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. ইঞ্জিনিয়ার রশীদ আহমদ চৌধুরী, রিজিয়া রেজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দীন মোহাম্মদ, আইআইইউসির প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মছরুরুল মওলা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বিওটি সদস্য প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, বিওটি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সালেহ জহুর, রেজিস্ট্রার এএফএম আক্তারুজ্জামান কায়সার, ফ্যাকাল্টি ডীনবৃন্দ ও ডিপার্ট্মেন্টের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিবিএ’র সহযোগী অধ্যাপক আবদুললাহিল মামুন ও আইআইইউসির প্রক্টর মো. ইফতেখার উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উন্নত ও মানবিক জাতি গঠনের যে লক্ষ্যমাত্রা আমাদের আছে, সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের একটি গর্বিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এমপি নদভী সাহেবকে আমি এখানে আসবো বলে কথা দিয়েছিলাম। আজকে এখানে আসতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি।’
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাঁরই সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে, তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে কেন্দ্র করে সরকার ২০৪১ সালকে লক্ষ্য ঠিক করে পথ-নকশা করেছে, সেই পথ-নকশা অনুয়ায়ী বাংলাদেশ আজ হাঁটছে। সেজন্য বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজ সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে, গ্রামীণ অবকাঠামো আজকে সুপ্রতিষ্ঠিত।’
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একসময় আমাদের শুধুমাত্র ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, এখন দেশে প্রায় ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আজকে এখানে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, শিক্ষকরা হলেন জাতি গঠনের মেরুদণ্ড, উনারাই সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। কারণ উনারাই আমাদের আগামী প্রজন্মকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলবেন। আর ছাত্ররা, যতই পড়বে ততই শিখবে। যদি আমি শিখতে পারি, তাহলে আমি আমাকে সমৃদ্ধ করতে পারবো৷ আমার দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারবো।’
আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেন, ‘আইআইইউসিকে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ শুরু করেছি৷ এই বিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ। আমার অনুরোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আইআইইউসি’র সংযোগ সড়কসহ ক্যাম্পাসের ভেতরে পিচঢালা সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছেন সরকারিভাবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যা অত্যন্ত গৌরবের ও অহংকারের বিষয়। আমরা আইআইইউসি পরিবার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে স্প্রিং সেমিস্টারের প্রায় ১৮০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের আগে আইআইইউসি ক্যাম্পাসের সড়কসমূহ বিটুমিনাস কার্পেটিং সড়কে উন্নতকরণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি।
অনুষ্ঠানে এলজিইডিই’র প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. এনামুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক আবুল মঞ্জুর মোহাম্মদ সাদেক, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান আলী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আমিরুজ্জামান, সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।