উচ্চবিত্তরাই ডেঙ্গু রোগের শিকার হচ্ছে বেশি

‘উচ্চবিত্তরাই ডেঙ্গু রোগের শিকার হচ্ছে বেশি’- বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত একটি সভায় এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এডিস মশার বিস্তাররোধ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ‘পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধনে সচেতনতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘নিজের ঘর আঙিনা পরিষ্কার রাখুন, নিজে বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচান। প্রত্যেকের বাড়ি ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমাদের নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে তিনি কলকাতার প্রসঙ্গ টেনে আরো বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সচেতনতার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ নিজেদের ডেঙ্গু মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পাড়া মহল্লায় প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাই দোকানপাট, অফিস আদালত, শিল্প কারখানা, বাসস্থান ইত্যাদি যার যার আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে এডিস মশার বংশ বিস্তাররোধ করতে, বিশেষ করে ঈদের বন্ধে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যবসায়ীদের এক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক সৈয়দ জামাল আহমেদ, এসএম আবু তৈয়ব ও নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন এবং স্বাধীনতা নারী শক্তির সভাপতি অধ্যাপিকা বিবি মরিয়ম বক্তব্য রাখেন।

সভায় সৈয়দ জামাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সাধারণত মনে করে থাকি নিম্নবিত্ত ও বস্তির লোকজন কেবল সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে- উচ্চবিত্তরাই ডেঙ্গু রোগের শিকার হচ্ছে বেশি।’

তিনি সাবধানতাকেই এই রোগের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা উল্লেখ করে আসন্ন কোরবানিতে যেখানে সেখানে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ জানান।

এসএম আবু তৈয়ব বলেন, ‘ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই সচেতন হতে হবে।’

নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন বলেন, ‘কেবল বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে গত বছর প্রায় ৪ কোটি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। এ বছর ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মন্তব্য করে তিনি সংগঠনগুলোর মাধ্যমে আশে-পাশের মানুষকে সচেতন করার অনুরোধ জানান।

বিবি মরিয়ম বলেন, ‘আমরা নিজেরাই ডেঙ্গু রোগ উৎপাদনকারী এডিস মশা সৃষ্টি করি। কার্নিশ, টব ইত্যাদি জায়গায় জমানো পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়।’

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তিনি শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে বেশি সচেতনতা আসা দরকার বলে মনে করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক একেএম আকতার হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মো. শাহরিয়ার জাহান, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, মো. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, সালমান হাবীব, তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী ও সাকিফ আহমেদ সালাম উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!