কক্সবাজারের উখিয়ায় একই পরিবারে দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ জনকে জবাই করে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রুমখাঁপালং সরকারি সাইরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রুমখাঁপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ন্যাক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানায়।
গত বুধবার গভীর রাতে রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্বরত্না গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার বাড়িতে ঢুকে তার মা-স্ত্রী, ছেলেসহ চারজনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন রোকেন বড়ুয়ার মা সখি বড়ুয়া (৫০), স্ত্রী নিলা বড়ুয়া (২৫), ছেলে রবিন বড়ুয়া (৫) ও রোকেন বড়ুয়ার বড় ভাই শিপু বড়ুয়ার মেয়ে সনি বড়ুয়া (৬)।
নিহতদের মধ্যে রবিন বড়ুয়া রুমখাঁপালং সরকারি সাইরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্র। সনি বড়ুয়া একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান শিক্ষক নুরুল কবির।
তিনি বলেন, কোমলমতি দুই শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের ৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে ৫ দিনেও কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের একাধিক সংস্থা মাঠে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। সন্দেহভাজনদের একেক সময় একেক জনকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে প্রশাসন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও অজানা আতংক কাজ করছে।
স্বজনদের নির্মমভাবে হত্যাকারীদের উচিত বিচার দাবী করেন নিকটাত্মীয় টুনু রাম বড়ুয়া (৮০) বলেন, অবিলম্বে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টা পর্যন্ত উল্লেখ্যযোগ্য কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন। ঘটনার পর থেকেই কেবল উখিয়ার পুলিশ প্রশাসন নয়, ডিআইজিসহ একাধিক তদন্ত সংস্থা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। আশা করি শীঘ্রই ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলাম মুজুমদার।
এএইচ